আলমাস হোসেনঃ ঢাকা জেলা প্রতিনিধি
ঢাকার আশুলিয়ায় সাংবাদিক পরিচয়ে যুবককে মারধর ও ব্লাকমেইল করে টাকা আদায়ের অভিযোগে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ মে) দুপুরে প্রিজনভ্যানের মাধ্যমে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে, শনিবার (১৩ মে) বিকেলে আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় সজিব নামের এক ভুক্তভোগী বাদি হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
আটককৃতরা হলো- ঝিনাইদহ জেলার মহেষপুর থানার বোয়ালিয়া এলাকার অহিদুল ইসলামের ছেলে আলিফ হাসান (২৫) ও ধামরাই থানার আমছিমোড় এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে পিয়াস আল মনসুর (৪৭)। এছাড়া জাহিদ নামে চক্রের অপর এক সদস্য পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী সজিব (৩০) টাঙ্গাইল জেলার দেলদোয়ার থানার মুন্সীনগর এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে। সে ধামরাইয়ের থানা স্ট্যান্ড এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো বলে জানা যায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী সজিব একজন পোশাক শ্রমিক। তার ধর্ম বোন রোমা বেগম তার স্বামী সন্তান নিয়ে আশুলিয়ার শ্রীপুর হালিম ক্লিনিক এলাকায় ভাড়া থাকেন। তার স্বামী অসুস্থ থাকায় সংবাদ পেয়ে গত ১২ মে তার স্বামীকে দেখার জন্য তাদের বাসায় যান। বাসায় যাওয়ার সাথে সাথে আটককৃতরা তাদের ৪/৫জন সহযোগী নিয়ে ধর্ম বোনের বাসার ভিতরে প্রবেশ করে নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে অতর্কিত ভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তার বোনের বাসায় থাকা বোনের বড় ভাই নুর আলমকে মারধর করে।
এরপর ভুক্তভোগী সজিবের নিকট থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে নেয় এবং ভুক্তভোগী সাজিবকে তার ভাগ্নীর সাথে দাঁড় করিয়ে একত্রে ছবি তুলে। সেই ছবি ইন্টারনেটে ছাড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরো ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে ভুক্তভোগী সজিবের মোবাইলের বিকাশ থেকে আরও ৮ হাজার টাকা সেন্ট মানি করে নিয়ে নেয়। ঘটনার কথা কাউকে জানালে ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে হুমকি প্রদান করে চলে যায়। পরে ভুক্তভোগী সজিব বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিপুল হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী সজিবের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়। পরে দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা কোনো তথ্য বা ডকুমেন্টস দিতে পারেনি। পরে অবশ্য পকেট থেকে এশিয়ান টিভির ভিজিটিং কার্ড বের করেছিল। সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।