সবর্শেষ সংবাদ :
আশুলিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন শাওনের বিরুদ্ধে মামলা
- আপডেটের সময় : সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০১৯
- ৭৪ বার পঠিত হয়েছে
আলমাস হোসেনঃ বাবাকে চাকুরী দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে সৎ মায়ের সহযোগীতায় এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার অদূরে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন আহম্মেদ শাওনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণে সহযোগীতা করায় সৎ মা এবং রাজধানী উত্তরার ব্লু বার্ড হোটেলের ম্যানেজার ও এক বয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী পোশাক শ্রমিকের বাবা আশরাফ আলী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী/২০০৩ এর ৯ (১)/৩০ ধারায় একটি মামলা (নং-০৯) দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী ওই নারী আশুলিয়া বাজার এলাকায় বাবা-মায়ের সাথে থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করেন।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামীরা হলো- মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদীখান থানার খাশ কান্দিরচর গ্রামের আব্দুর রহমান বেপারীর ছেলে সালাউদ্দিন আহম্মেদ শাওন (৪৮), সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার বালসাবাড়ি গ্রামের জিলহক মোল্লার মেয়ে গোলাপী খাতুন (৩২), উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ৭নং সেক্টরস্থ লেক ড্রাইভ রোডের ৬নং ভবনে অবস্থিত ব্লূ বার্ড হোটেলের ম্যানেজার চিশতী মিয়া (৪২) ও কর্মচারী ইউসুফ (২৫)।
মামালার এজাহার সুত্রে জানা যায়, আশুলিয়া বাজার এলাকার রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী মেঘনা স্টিল এর মালিক সালাউদ্দিন আহম্মেদ শাওন স্থানীয় আশরাফ আলীকে একটি রেস্টুরেন্টে চাকুরী দেয়ার কথা বলে তার মেয়েকেসহ গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ৭নং সেক্টরস্থ লেক ড্রাইভ রোডের ৬নং ভবনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে বাবাকে লাবাম্বা রেস্টুরেন্টে চাকুরীর বিষয়ে কথা বলতে পাঠিয়ে দিয়ে পোশাক শ্রমিক মেয়েকে সৎ মায়ের সম্মতিতে ওই বিল্ডিংয়ের ৬ষ্ঠ তলায় অবস্থিত ব্লূ বার্ড হোটেলের ৬০৬ নম্বর কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে হোটেল ম্যানেজার চিশতী মিয়া (৪২), কর্মচারী ইউসুফ (২৫) এর সহায়তায় ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন আহম্মেদ শাওন পোশাক শ্রমিক ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য ওই নারীকে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখায়।
মামলার বাদি আশরাফ আলী বলেন, ঘটনার কয়েকদিন পর আমার মেয়ে শারীরিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে আমার সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসা করায় ধর্ষনের বিষয়টি খুলে বলার পর বিষয়টি জানিয়ে আমি একটি মামলা দায়ের করেছি। কিন্তু মামলার আসামীরা পুলিশের হাতে ধরা না পরায় আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ষক সালাউদ্দিন আহম্মেদ শাওন বলেন, ধর্ষণ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আমি জামিনে আছি, এ কথা বলেই তিনি মুঠোফোনের লাইনটি কেটে দেন।
এদিকে আশুলিয়ার স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ধর্ষণের শিকার ওই নারী পোশাক শ্রমিক ধর্ষক সালাউদ্দিন সাওন এর বাসায় দুই বছর পূর্বে গৃহ পরিচারিকার কাজ করতো। সালাউদ্দিন শাওন একজন লম্পট প্রকৃতির লোক জানিয়ে এ ঘটনায় তার কঠোর শাস্তির দাবি জানান তারা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আকিব নুর বলেন, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী সালাউদ্দিন আহম্মেদ শাওন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসেছে এবং অন্যরা পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুনীকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলার পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এই বিভাগের আরও খবর
