এমকে মানিক পাঠান —
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার চান্দ্রা বাজারের একটি মুদি দোকানে রয়েছে গরিবের সরকারি চাল। গোপনে সরকারি এই চাল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে । গত কয়েক দিন যাবৎ উপজেলার চান্দ্রা বাজারে আঃ ছাত্তার নামের ব্যবসায়ীর দোকানে সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দের চাল গোপনে বিক্রির বিষয়টি ফাঁস হয় শনিবার। এ নিয়ে এলাকায় হইচই শুরু হয়। স্থানীয়রা বলছে সরকারি চাল মুদি দোকানে রেখে তা আবার বিক্রির বৈধতাই বা কে দিয়েছে এমন প্রশ্ন উঠেছে সর্বমহলে।
সরেজমিনে শনিবার চান্দ্রা বাজারে ছাত্তারের মুদি দোকানে গিয়ে দেখা যায়, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ, ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ এই শ্লোগান লিখা সরকারি চাল ভর্তি বস্তা পড়ে আছে মুদি দোকানে। ৩০ কেজি ওজনের বস্তা খাদ্য অধিদপ্তরের সীল মারা বিপুল সংখ্যক বস্তা দেখা যায়। কিভাবে তার দোকানে এসব সরকারি চাল ভর্তি বস্তা এসেছে জানতে চাইলে দোকানদার আঃ ছাত্তার যোক্তিক কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
এক পর্যায়ে আঃ ছাত্তার বলেন, আমি এসব চাল সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে এনেছি।
উপজেলার ১নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সফিকুর রহমান পাটওয়ারী জানান, এসব চাল কাবিখার বরাদ্দের। তবে সরকারি চাল মুদি দোকানে বিক্রির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে ইউএনও স্যারের নির্দেশে শনিবার সহকারী কমিশনার মমতা আফরোজ {ভূমী} তদন্তে এসেছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জের খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা সুমন কুমার সাহা {ড়পষংফ} শনিবার মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন, যে কোন সরকারি চাল মুদি দোকানে রেখে বিক্রির কোন বৈধতা নেই। তবে কাবিখার অনুকুলে বরাদ্দ হওয়া চালগুলো ১নং বালিথুবা ইউনিয়নের সকদি রামপুর এলাকার মো সাত্তারের নামে ৩০ কেজি ওজনের মোট ৪৫ বস্তা মোট ১৩শ ৫৬ কেজি সরকারি চাল দেয়া হয়েছে। এই চাল দিতে ইউএনও এর নির্দেশে উপজেলা ত্রান অফিসের ছাড়পত্র পেয়ে সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে তা দেয়া হয়েছে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, বিষয়টি আমি শুক্রবার রাতেই শুনেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে চাল জব্দ ও ব্যবসায়ীকে আটক করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দিয়েছি।