আলমাস হোসেনঃ সৃজনশীল সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের ৬ষ্ঠ দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন (২০১৯-২০ইং) অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীন ভাবে চলে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।
এ নির্বাচনে সভাপতি পদে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শহীদুল্লাহ মুন্সী বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক সভাপতি মোজাফফর হোসাইন জয়। সাধারণ সম্পাদক পদে আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক মোছাঃ শেফালী খাতুন (মিতু) বিজয় হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক লাইজু আহাম্মেদ এবং জহিরুল ইসলাম লিটন।
সহ-সভাপতি পদে মোট ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও এদের মধ্যে দুইজন বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ীরা হলেন ওমর ফারুক ও কামাল উদ্দিন চৌধুরী। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বাবুল আহমেদ, শহিদুল ইসলাম ডাবলু এবং মো. মেহেদী হাসান মিঠু।
যুগ্ম-সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম রাজু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন প্রেস ক্লাবের দুই বারের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক ওবায়দুর রহমান লিটন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন মো. আমিনুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মো. মনিরুজ্জামান।
দপ্তর সম্পাদক পদে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন মো. মনির মন্ডল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মো. সাঈম সরকার। প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে হাজী মো. আবুল হায়াত বাচ্চু বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মুন্সী মেহেদী হাসান।
এছাড়াও ৩জন কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন- আশরাফ হোসেন কামাল, মো. আলী আযম সরকার ও একেএম কামরুজ্জামান। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আমিরুজ্জামান টুটুল এবং মো. ফিরোজ আলম।
কোষাধ্যক্ষ এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে একজন করে প্রার্থী থাকায় ওই দুই পদে যথাক্রমে তুহিন আহমেদ এবং অপু খন্দকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এবারের নির্বাচনে মোট ১৩টি পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ৫৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
এর আগে, আশুলিয়া প্রেস ক্লাবের ৬ষ্ঠ দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য অপু ওহাবকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য এ.এইচ মিলন, জাকির হাসান, শাহিনুর রহমান শাহিন ও জাহিদ হাসান শাকিলকে নির্বাচন কমিশনের সদস্য করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।