গোলাম নবী খোকনঃ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের সাহেব বাজার এলাকায় এএসবি ব্রিকস ফিল্ডে কর্মরত মহিলা শ্রমিক মিনা বেগম (৪০) গত ০৬ মে ২০২৩ ইং রোজ শনিবার সকাল ১০ টায় ধনাগোদা নদীতে ৫/৬ জনের একটি দল গোসল করতে পানিতে নামে, মিনা বেগম নামে এক মহিলা ডুবে নিখোঁজ হয় আর বাকীরা তীরে উঠে। সাথে ছিল মিনা বেগমের এক মাত্র ছেলে কাউছার (১২)।
ছেলে কাউছার ও ইট বাটার শ্রমিকরা অনেক খোঁজা খুঁজি করে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে চাঁদপুর নদী ষ্টেশনের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজের জন্য ঘটনাস্থলে এসে নিখোঁজ মহিলা মিনা বেগম কে উদ্ধার করার জন্য ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে নেমে প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা উদ্ধার কাজ অব্যাহত রাখে। ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ কবির হোসেন জানান, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সাড়ে চার ঘন্টা উদ্ধার কাজে কার্যক্রম চালিয়ে যাই বিকাল চারটা পর্যন্ত। আমাদের আয়েত্ত্বে না থাকার কারনে মতলব উত্তর থানার এসআই সোহেল ও গন্যমান্য লোকজনের উপস্থিতিতে উদ্ধার কাজ সমাপ্ত করি। শ্রমিক বিল্লাল হোসেন ও নিখোঁজ মিনা বেগমের ছেলে কাউছার জানান, আমরা এক সাথে নদীতে গোসল করতে নামি, আমরা কয়েক জন গোসল করে তীরে উঠি, মা যে আর ফিরে আসেনা, মা নদীতে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যায়। মা সাতার জানে, কেন যে এমন হলো, মাকে আর খুঁজে পেলামনা। মিনা বেগমের স্বামী মোঃ কিরন ও তার বড় মেয়ে চম্পা (২০) এবং মিনার বড় বোন রেখা মিনার নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তারা অনেক খুঁজা খুঁজি করে। মিনা বেগম ৫ সন্তানের জননী, সাথে ৩ মেয়ে ও এক মাত্র ছেলে থাকতেন, মায়ের সাথে থাকা ২য় মেয়ে জান্নাত (১৮), ৩য় ছেলে কাউছার (১২),৪র্থ মেয়ে ইসনাত (১০) ও ৫ম মেয়ে মিতু(৮)। মিনা বেগম ১ ছেলে ও ৩ মেয়েকে নিয়ে ইট বাটায় কাজ করতেন। তার উপর নেমে আসে আষাঢ়ের বন্যা। পর দিন ০৭ মে রবিবার মিনার স্বামী, ছেলে ও স্বজনরা মিনার লাশ খোঁজার জন্য কেহ ট্রলার যোগে কেহ নদীর তীর হেঁটে হেঁটে খোঁজা খুঁজি করছেন। এ ব্যাপারে মতলব উত্তর থানার ওসি মহিউদ্দিন জানান, এখন পর্যন্ত ও আমরা লাশের সন্ধান পাই নাই, আমাদের থানা পুলিশ খোঁজ খবর নিচ্ছে। এ লিখা পর্যন্ত ০৭ মে বিকাল ৫ টা, প্রায় ৩১ ঘন্টা অতিবাহিত হয়ে যাবার পরও নিখোঁজ হওয়া মিনার লাশের কোন সন্ধান মিলেনি।