1. rajubdnews@gmail.com : admin :
  2. bipplobsarkar@gmail.com : Md. Bipplob Sarkar : Md. Bipplob Sarkar
  3. crimeaction24@gmail.com : Maruf Gazi : Maruf Gazi
  4. mizanbhola10@gmail.com : Mizanur Rahman : Mizanur Rahman
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:৪১ অপরাহ্ন
সবর্শেষ সংবাদ :
ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বপ্নপূরীর শিল্পী গোষ্ঠীর চাঁদপুর জেলার শাখার ক্লাস উদ্বোধন ডি এ তায়েবের নামে সাইবার ক্রাইমে মামলার হুমকি নিপুণের! ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সর্বশেষ যে তথ্য দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন উড়োজাহাজ মার্কার প্রার্থী শাহ জালাল প্রধান আশুলিয়ায় ২৪ ঘন্টায় ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার সাভারে ফেনসিডিলসহ চার মাদক কারবারি গ্রেপ্তার নবাবগঞ্জে ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিতঃ লেডি দেহলভী বালিকা বিদ্যালয়ে চর্যাপদ একাডেমির বই উপহার কর্মসূচি দেবীদ্বারে ইট বহনকারী ট্রাক্টরের চাপায় প্রাণ গেল ৬ বছরের শিশুর প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলি নৃশংসতা গণহত্যার প্রতিবাদে নওগাঁয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সংহতি সমাবেশ

‘গ্রাম আদালত সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রতিবেদকের নাম
  • আপডেটের সময় : শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৭
  • ৪৬ বার পঠিত হয়েছে

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: গ্রাম আদালতকে আরো কার্যকর করা, স্থানীয় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো এবং তাদের সেবা নিতে উৎসাহ দিতে প্রকল্পভুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি (জাতীয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও) প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে মতলব দক্ষিণ উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ মোট ৪৫ জন অংশগ্রহণ করেন।

সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগ, জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি) ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প’ -এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় সহযোগী সংস্থা বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ষ্ট্রাষ্ট (ব্লাষ্ট) এ কর্মশালা আয়োজনে বিশেষ সহযোগিতা প্রদান করে। বর্তমানে জেলার মোট পাঁচটি উপজেলায় (মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, ফরিদগঞ্জ, শাহরাস্তি ও কচুয়া) এ প্রকল্পটি কাজ করছে।

এই প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য হলো স্থানীয়ভাবে সহজে, স্বল্প সময়ে, স্বল্প ব্যায়ে এবং স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম আদালতের মূখ্য-অংশীজনদের (যারা বিচারিক কাজে যুক্ত থাকবেন বিশেষভাবে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ) সক্ষম করে তোলা এবং অন্যায়ের প্রতিকার লাভের জন্য তৃণমূলের দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষত নারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

মতলব দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) রাজন কুমার দাস।

কর্মশালায় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলা স্থানীয় সরকারের গ্রাম আদালত বিষয়ক ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর (ডিএফ) নিকোলাস বিশ্বাস। সভাটি সঞ্চালনা করেন মতলব দক্ষিণে কর্মরত ব্লাষ্টের উপজেলা সমন্বয়কারী প্রণব কান্তি দাস।

কর্মশালার প্রধান অতিথি অধ্যাপক সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার বলেন, বাংলাদেশের একজন শিক্ষিত ও সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে সরকারি সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে অবহিত করা এবং তাদের উপকারে আসা। আমরা জানি গ্রাম আদালতের বিচারিক সেবা সমাজের উচ্চ শ্রেণীর জন্য নয়। এলাকার সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘেœ অতি স্বল্প খরচে বিচারিক সেবা পেতে পারে সেজন্য সরকার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে এই গ্রাম আদালত স্থাপন করেছে। এলাকার দরিদ্র ও অসহায় মানুষ না জানার কারণে গ্রাম আদালতের বিচারিক সেবা নিতে পারে না। অথচ তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায় কিন্তু ন্যায়-বিচার পায় না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রাম আদালত একটি সরকারি সেবা। এটা কোন সংস্থা বা প্রকল্পের সেবা নয়। তিনি উপস্থিত এনজিও কর্মকর্তাদের বলেন, বেসরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজসেবা অধিদপ্তর হতে রেজিষ্ট্রেশন গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্র তথা সরকারের বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা তাদের একটা কর্তব্য হয়ে দাঁড়ায়। তাই মাঠ পর্যায়ে বেসরকারি সংস্থাগুলো তাদের চলমান কাজের সাথে মিলিয়ে সরকারের গ্রাম আদালতের সেবার বার্তা এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারে।

কর্মশালার মূল আলোচক নিকোলাস বিশ্বাস বলেন, গ্রামীণ জনগণের কাছে গ্রাম আদালত বিষয়ক সচেতনতা বাড়ানো এবং তাদেরকে বিচারিক সেবা নিতে রেফার করতে সক্ষম এমন এনজিওদের চিহ্নিত করা এবং তাদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক তৈরি করা আমাদের স্থানীয় সরকারের একটা অন্যতম লক্ষ্য। আমরা জানি এদেশের এনজিওগুলো মাঠ পর্যায়ে সাধারণতঃ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করে এবং তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- পরিচালনা করে। বেসরকারি সংস্থাসমূহ যে জনগোষ্ঠী নিয়ে কাজ করে ঠিক সেই একই পিছিয়ে পড়া অসহায় জনগোষ্ঠীর জন্য সরকার প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত স্থাপন করেছে যাতে তারা সহজে স্বল্প সময়ে এবং অতি স্বল্প খরচে বাড়ির কাছে বিচারিক সেবা পেতে পারেন। তাই, এনজিওগুলো তাদের নিজেদের সুবিধাভোগী/প্রোগ্রামের অংশীদারদের মধ্যে গ্রাম আদালত সম্পর্কে তথ্য প্রদান এবং এর বিচারিক সেবা নিতে পরামর্শ (রেফার) প্রদান করতে পারে।

উল্লেখ্য যে, গ্রাম আদালতে মামলা খরচ খুবই কম। দেওয়ানী মামলা জন্য ২০ টাকা এবং ফৌজদারী মামলার জন্য ১০ টাকা মাত্র। দেওয়ানী ও ফৌজদারী উভয় মামলার ক্ষেত্রে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে রায় ঘোষণার এখতিয়ার গ্রাম আদালতে রয়েছে। তবে গবাদী পশু চুরি ছাড়া অন্যান্য সকল চুরির ক্ষেত্রে এ এখতিয়ার ৫০ হাজার টাকা। প্রতিটি মামলার ক্ষেত্রে ৫ জন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালতের বেঞ্চ গঠিত হয়। এতে সভাপতি হিসেবে থাকেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। বাকী চার জনের মধ্যে দুই জন মনোনীত করেন মামলার আবেদনকারী এবং অন্য দুই জন মনোনীত করেন প্রতিবাদী অর্থ্যাৎ যার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

দয়া করে এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

এই বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved by CrimeAction 24 Dot Com.
Theme Customized BY LatestNews