ঘটনা সূত্রে জানা যায়, হানিফ পরিবহনের সুপারভাইজার চট্টগ্রামের মাহিনুর আলম সাকিব কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। মাহিনুর আলমের পিতার নাম সিরাজুল মোস্তফা প্রধান । অপহরনের স্বিকার মাহিনুর আলম সাকিব জানায়, নোয়াখালী চৌরাস্তা থেকে তাকে কথা আছে বলে অপহরন করে চাঁদপুরে নিয়ে আসে।চাঁদপুর এনে সাকিবকে শিকল দিয়ে বেঁধে দু দিন মারাত্মক ভাবে নির্যাতন করা হয়। তারপর তার পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে আনসার সদস্য আপন দু ভাই নাজিম ও রাকিব। শিলন্দিয়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়ির ভাড়াটিয়া আনসার সদস্য নাদিমের ভাড়া ঘর থেকে পুলিশের জরুরী সেবার নাম্বারে কল পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ সাকিবকে উদ্ধার করে । ঘটনার সাথে জড়িত চাঁদপুরের আনসার সদস্য নাদিম ও লক্ষ্মীপুর জেলার আনসার বিটিভি সদস্য রাকিব হোসেন কে আটক করে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে। আটক দুজনের স্ত্রী নারী পুলিশ সদস্য। লক্ষ্মীপুর জেলার আনসার বিডিভি সদস্য রাকিব হোসেনের শালিকা পূর্নিমা আক্তারের সাথে পরিচয় হয় মাহিনুর আলম সাকিবের। প্রেমের ফাদে ফেলে মাহিনুর আলম সাকিবকে ডেকে লক্ষ্মিপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে অপহরন করে চাঁদপুর সদর উপজেলার শিলন্দিয়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়ির ভাড়াটিয়া আনসার সদস্য নাজিমের ভাড়া ঘরে এনে আটক করে রাখে মাহিনুর আলম সাকিবকে।এ ঘটনার সাথে নাদিমের স্ত্রী চাঁদপুর পুলিশ লাইন্সের নারী নায়েক সুলতানা আক্তার ও রাকিবের স্ত্রী লক্ষ্মিপুরে নারী পুলিশ সদস্য এ ঘটনার সাথে জরিত রয়েছে বলে স্হানীয়রা জানায়।তারা নাদিম ও রাকিবের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানায়।
মাহিনুর আলম সাকিবকে জানায়, প্রথমে এ আনসার সদস্যরা তার ম্যাসেন্জারে মেয়ের আইডি দিয়ে কথা বলে, তারপর ম্যাসেজ পাঠায়। এভাবে তাকে প্রেমের ফাদে ফেরে অপহরন করে চাঁদপুর এনে আটকে রেখে মুক্কিপণ হিসাবে আমার পরিবারের কাছে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।