মানিক দাস //
চাঁদপুরে করোনা পরিস্হিতি ভয়াবহতার দিকে ধাবিত হচ্ছে । গত ২১ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহার দিন থেকে ২৬ জুলাই সোমবার পর্যন্ত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্হায় ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে ২৪ জুলাই শনিবার মাত্র ৮ ঘন্টার ব্যবধানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলশন ওয়ার্ডে ৬ জন রোগীর মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ২ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ। অপর তিন জনের মৃত্যু হয়েছে কচুয়া স্বাস্হ্য কমল্পেক্সে।
গত ২৩ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ২৪ জুলাই শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।চাঁদপুর স্বাস্থ্য বিভাগ ও কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এসব তথ্য নিশ্চিত করে।
২১ জুলাই মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এর মধ্যে মহিলা ৩ জন ও পুরুষ ১ জন। ২২ জুলাই মারা গেছে ২ জন। এর মধ্যে পজেটিব ১ জন ও উপসর্গে ১ জন। ২৫ জুলাই মারা গেছে ৬ জন। এর মধ্যে করোনা পজেটিব ২ জন এবং উপসর্গে ৪ জন। ২৬ জুলাই সোমবার মারা গেছে ৪ জন। ২ জন উপসর্গে ২ জন করোনা পজেটিবে।
২৩ জুলাই থেকে ২৪ জুলাই ২৪ ঘন্টায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যাক্তিরা হলেন-, সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রামদাসদী গ্রামের মেহেদী হাসান (৩৬), মৈশদী ইউনিয়নের মায়মুনা (৬৫), ফরিদগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া গ্রামের সাজেদা বেগম (৫৫), শাহরাস্তি উপজেলার শুয়াপাড়া গ্রামের সাজেদা বেগম (৭০), মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের নাগদা গ্রামের ফজলুল হক (৭০) এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব এখলাশপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম(৭০)।
এছাড়া কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যবরণ করেন গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৭৫) ও তার স্ত্রী ফয়জুন্নেছা (৬০)। মাত্র আড়াই ঘন্টার ব্যবধানে এ দম্পতির মৃত্যু হয়। একই উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী সুমন পাটওয়ারী (৩৫) করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরণ করেন।
চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জানিয়েছেন, চাঁদপুরে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।এখন থেকেই সচেতন না হলে চরম মাশুল গুনতে হবে জেলাবাসীকে।
এদিকে এই প্রথম চাঁদপুরে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।