মানিক দাস : আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের সময় নৌপথে দক্ষিনাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলার মানুষ চাঁদপুর নদী বন্দর ব্যাবহার করে থাকেন, আর এই নদীপথে আসা যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌছতে পারে সেলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বিআইডব্লিউটিএ এর আয়োজনে যাত্রী হয়রানী বন্ধ ও শৃঙ্খলার সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১০টায় নৌ ফাড়ি পুলিশের কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মো: আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি বলেন প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত লঞ্চ চালু থাকবে। রোভার স্কাউটের পাশাপাশি আনসারদেরও ব্যবস্থা থাকবে। লঞ্চে আসা যাত্রীদের জন্য ফ্রী বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা থাকবে। লঞ্চের ভাড়া বাড়ানোর কোন সম্ভাবনা নেই।
এসময় তিনি লঞ্চ মালিক সমিতির উদ্দ্যেশে বলেন, প্রতিটি লঞ্চে ময়লা ফালার ঝুড়ির পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং সেই ময়লা নদীতে ফেলা যাবে না। লঞ্চের ছাদে (টপ ছাদে) যাত্রী উঠানো যাবে না, হলে জরিমানা করা হবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে। লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো যাবে না, বিশেষ করে লোড লেভেল ক্রস করলেই লঞ্চ ঘাট থেকে ছেড়ে দিতে হবে। লঞ্চ স্টাফদের মাসের শুরু থেকেই লঞ্চ কর্তৃপক্ষের পোষাক থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন কুলিদের পরিচিতি পত্র বা আইডি কার্ড থাকতে হবে এবং তারা যেন যাত্রীদের বযাগ নিয়ে টানা হেচড়া না করে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। পল্টুনে কোনরূপ মালামাল বা হকার থাকতে পারবে না। ঈদের সময় লঞ্চে নৌকার মাধ্যমে উঠানামা করা যাবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নৌ ফাড়ি পুলিশের কার্যালয়ে ফাড়ির ইন-চার্জ মো: আবু তাহের খানের, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: নাসিম, কোস্ট-গার্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আঃ মালেক, মহিলা ওয়ার্ড কমিশনার ফরিদা বেগম, পরিবহন পরিদর্শক মো: মাহাতাব উদ্দিন শেখ, টিআই মো: রেজাউল করিম,বিআইডব্লিউটিএ এর (সিবিএ) মো: আব্দুছ ছাত্তার, লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার, ঘাট সুপারভাইজার মো: আজগর সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ। বিস্তারিত আসছে …………