স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার ২নং আশিকাটি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার লোকমান মুন্সির বিরুদ্ধে জোরপূর্বক এক প্রবাসীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানীর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ ও নিন্দা বিরাজ করছে। রক্ষক যেখানে বক্ষক সেখানে সাধারণ নিরিহ লোক কোথায় গিয়ে শেষ আশ্রয় নিবে, এ নিয়ে এলাকায় নানা জল্পনা কল্পনা শোনা যাচ্ছে।
অনুসন্ধানে গিয়ে জানাযায়, আশিকাটির হাপানীয়া ওয়ার্ডের টানা দ্বিতীয় মেয়াদের মেম্বার লোকমান মুন্সি তার পাশের বেপারী বাড়ির প্রবাসী কামালের স্ত্রীরকে গত ১০ অক্টোবর রাত ১০টায় ঘরের ভেতরে ডুকে নানাহ প্রলোভান দিয়ে ব্যার্থ হয়ে জোরপূর্বক তাকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে। এ সময় প্রবাসীর স্ত্রীর নাজমা বেগম ডাক চিতৎকার দিলে পাশের ঘর থেকে তার শ্বশুড় ছুটে আসে। ঘরের ভেতরে মেম্বার লোকমান মুন্সিকে দেখে হতবম্ব হয়ে যায়। পরে মেম্বার সেখানে নানাহ কথা বলে কৌশলে চলে আসে। প্রবাসীর স্ত্রীর অভিযুক্ত লম্বট মেম্বারের বিচারের দাবিতে ঘটনাটি ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার গন্যমান্যদের জানান। এরপর বিষয়টি ধীরে ধীরে এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে যায়।
অভিযোগ রয়েছে, লোকমান মুন্সি প্রথমবার মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর তার ওয়ার্ডে এক নারীর সাথে হাতে নাতে ধরা পড়লে। এই কারণে মেম্বারের স্ত্রী বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে এলাকার মানুষ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করে। এলাকায় মেম্বার একটু প্রভাবশালী হওয়ায় মুখ খুলে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি বলে এলাকাবাসী জানান।
এ বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন, মেম্বার একজন লম্পট লোক, তার নারীদের প্রতি অনেক লোভ, এলাকায় প্রভাব খাঁিটয়ে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। মেম্বার যে একজন নারী লোভী তার এলাকার ছোট থেকে বড় সবার জানা রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে প্রবাসীর স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন, ওয়ার্ড মেম্বার দীর্ঘদিন ধরে একাধিকবার তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। ঘটনার দিন রাত ১০টায় ঘরের ভেতরে এসে নানাহ ভাবে তাকে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে জোরপূর্বক প্রবাসাীর স্ত্রীকে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে।
মেম্বারের অপকর্ম এখানেই শেষ নয়, সে মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তার পছন্দের লোকদের বয়স্ক ভাতা, বিদবা ভাতা, ভিজিডি কার্ড, পঙ্গুভাতা, প্রতিবদ্ধী ভাতা, মার্তৃত্বকালীন ভাতাসহ সরকারের সকল সুবিধা তার প্রছন্দের লোকসহ আত্মীয়দের দিয়ে আসছে। এ নিয়ে ও এলাকার মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় এখন বেশ চাঞ্চল্যকার পরিস্থিতি বিরাজ করছ্।ে বাসুরের নাম মুখে না আসার গল্প যেন এখন আশিকাটির হাপানিয়া গ্রামে বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ বিল্লাল হোসেন বিল্লাল মাষ্টার বলেন, ঘটনাটি প্রবাসীর স্ত্রী নাজমা বেগম আমাকে জানিয়েছে। রবিবার তাকে পরিষদে আসতে বলেছি বিকাল ২টার পর। কারণ সকালে পরিষদে সবধরনের লোকের সমাগম থাকে বিষয়টি স্পর্সকাতর রয়েছে সে জন্য তাকে বিকেলে আসতে বলেছি। আমি অভিযুক্ত মেম্বার লোকমান মুন্সিসহ কয়েকজন মেম্বার কে জানিয়েছি তাহাদেরকেও রবিবার পরিষদের থাকতে বলেছি। অভিযোগকারী আসলে উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে মিমাংসা করে দিব। কিন্তু অভিযোগকারী গতকাল রবিবার আসেনি তাই বিষয়টি এখনো মিমাংসা করতে পারিনি। তবে অভিযোগকারীর শ্বশুর পরিষদে এসে জানিয়েছে নাজমা বেগম আসতে পারবে না। অভিযোগকারী যদি অফিসে না আসে তাহলে সমস্যা সমাধাণ করবো কি ভাবে। আমি শুনেছি লোকমান মেম্বার নাজমা বেগমের বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চেয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোক্ত মেম্বারের বক্তব্য নেওয়ার জন্য গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ দিকে অভিযোগ উঠেছে, লোকমান মুন্সি প্রভাবশালী হওয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী ধমকীর কারনে সে পরিষদে যায়নি বলে এলাকাবাসীর সূত্রে জানাগেছে। বিষয়টি চাঁদপুর পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার পিপিএমের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।