মানিক দাস ॥ রাষ্ট্রীয় কোষাগার হতে পৌরসভার জনপ্রতিনিধিদের সম্মানি ভাতা ও সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের শতভাগ বেতন ভাতা প্রদান সহ পেনশন প্রথার দাবিতে সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরেও চাঁদপুর পৌরসভা কর্মচারী সংসদ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চাঁদপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে ২ জুলাই শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও চাঁদপুর পৌরসভার সচিব আবুল কালাম ভূইয়ার সভাপতিত্বে এবং চাঁদপুর পৌরসভার কর্মচারী সংসদের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামানের পরিচালনায় বক্তারা বলেন,আমরা এক বছর ধরে প্রতিটি পৌরসভায়, বিভাগীয় পর্যায়, কেন্দ্রীয় পর্যায় ঢাকায় আন্দোলন করেছি।
কর্তৃপক্ষ আমাদের াাশ্বস্ত করায় আমরা সেদিন আন্দোলন স্থগিত করেছি। কিন্তু আমাদের দাবি আজও পূরণ হয়নি। আমরা আশা করেছিলাম রাস্ট্রীয় কোষাগার থেকে আমাদের বেতন ভাতা দিবে। কিন্তু তা হয়নি। আমরা বাধ্য হয়ে আবারও কেন্দ্রের নির্দেশে আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হয়েছি। আমাদর আন্দোন সরকারের বিরুদ্ধে নয়। আমরা আমাদের যৌক্তিক দাবির সমাধান চাই। তাই আমাদের দাবি আদায়ের জন্য আমরা চিন্তা করেছি আন্দোলনের বিকল্প নেই। তাই দাবি আদায়ের জন্য আমরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। এই কর্মসূচি শতভাগ বাস্তবায়ন এবার আমরা করেই ছাড়ব।
একদেশে দুই নীতি কোনভাবে চলতে পারে না। তাই আমরা সরকারকে বলব, মা জননী হাসিনা ক্ষুধার জ্বালায় বাঁচি না। এ কেমন চাকুরি ভাই, মাস শেষে বেতন নাই। আগামী ১৪ জুলাই ঢাকায় কর্মসূচি পালন করা হবে। সেই কর্মসূচিতে আমাদের সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে। আমাদের দাবিগুলো যেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌছানো যায় সেইভাবেই আন্দোলন করতে হবে। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে ঢাকায় আন্দোলন করা অবস্থায় কোন অদৃশ্য শক্তি দাবি মানা হয়েছে বলে আমাদেরকে আন্দোলন থেকে তুলে দেয়।
আমরা আর পিছনে যেতে চাই না। এবার আমরা আমাদের দাবি আদায় করে ছাড়ব। সরকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে রাষ্টীয় কোষাগার থেকে বেতন ভাতা দিচ্ছে। কিন্তু আমরা কী অপরাধ করছি। আমাদেরকে কেন রাষ।ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন ভাতা ও পেনশন দেওয়া হচ্ছে না। আমরা প্রতিনিয়ত সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পৌরসভার নাগরিকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। সরকার কেন আমাদেরকে কেন ন্যায্য মজুরি দিবে না। আমরা আমাদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যেই প্রয়োজনে আরো কঠোর আন্দোলনের ডাক দিব।
এই সময় আরও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভা কর্মচারী সংসদের সাধারণ সম্পাদক মফিজ উদ্দিন হাওলাদার,, হাজীগঞ্জ পৌরসভার সচিব মোঃ নুরুল আমিন, শাহরাস্তি পৌরসভার সচিব তোফায়েল আহমেদ, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার সচিব খোরশেদ আলম, চাঁদপুর পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নুরুল আমিন, মোঃ ফেরদৌস আহমেদ, হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা মোঃ মশিউর রহমান, কর আদায়কারী তৌহিদুল ইসলাম চপল, বাজার পরিদর্শক মোঃ বাতেন মিয়াজী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রাসেল, সহ প্রচার সম্পাদক আবুল খায়ের মনু, মহিলা সম্পাদিকা ফারজানা বেগম লাকি, মতলব পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার লাইসেন্স পরিদর্শক মোতাহের হোসেন, মতলব পৌরসভার কর আদায়ককারী শাহাদাত হোসেন, চাঁদপুর পৌরসভার কার্য সহকরী গোপাল চন্দ্র বনিক, কচুয়া পৌরসভার টিকা সুপার ভাইজার হুসাইন আহমেদ, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহমুদুন নবী, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার অফিস সহকারী আসমা আক্তার পলি, ছেঙ্গারচর পৌরসভার কামরুন নাহার, শিক্ষিকা শিরিন আক্তার, চাঁদপুর পৌরসভার সহকারি হিসাব রক্ষক অ্যাড. মজিবুল হক সেলিম, ছেঙ্গারচর পৌর কর্মচারী সংসদের সভাপতি মাহমুদ উল্লাহ নিপু, ফরিদগঞ্জ পৌর সংসদের রঞ্জন পোদ্দার, চাঁদপুর পৌর আমিনুল হক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অনিমা সেন চৌধুরী প্রমুখ। সভার শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন মাওলানা হাফিজুর রহমান।