মানিক দাস ॥ চাঁদপুর শহরের বাগাদী রোডস্থ মহাশ্মশানের জায়গা দখল করে একটি চক্র পাকা স্থাপনা তৈরি করছে। এ ব্যাপারে চাঁদপুর মহাশ্মশান পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়ার ও চাঁদপুর মডেল থানায় লিখিতভাবে সাধারণ ডায়রি করেছে।
চাঁদপুর মহাশ্মশানের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবদাহের সংগঠন হরিবোলা সমিতির সভাপতি অজয় কুমার ভৌমিক জানান, আজ থেকে বহু বছর পূর্বে সাধুচরণ পোদ্দার সবদাহের জন্য ৪ একর সম্পত্তি শশ্মানকে দান করে। সেই থেকে এখানে সনাতন ধর্মাবলম্বী মৃত ব্যক্তিদের দাহ কার্য করা হচ্ছে। এক সময় চাঁদপুর পৌরসভা থেকে শ্মশানের বাহিরের অংশ ব্যক্তি মালিকানায় লীজ দেওয়া হয়।
আমরা শ্মশান কর্তৃপক্ষ চাঁদপুর পৌরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান মরহুম সফিকুর রহমান ভূইয়ার কাছে লীজ প্রথা বাতিলের আবেদন করলে তা বাতিল করা হয়। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল লীজ নবায়ন করেছে দাবি করে শ্মশানের জায়গায় পাকা স্থাপনা গ্রেড ভিমের মাধ্যমে তৈরি করছে। গত ৩০ জানুয়ারি শনিবার ওই প্রভাবশালী মহল পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করলে আমরা শ্মশান কর্তৃপক্ষ জানতে পারলে বিকেলে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। এই সময় ফারুক ভূইয়া নামক ব্যক্তি আর কোন কাজ করা হবে না বলে আমাদেরকে জানিয়ে দেয়। কিন্তু সোমবার ভোররাত থেকে ওই প্রভাবশালী মহল পুনরায় গ্রেড ভিমের মাধ্যমে কাজ শুরু করে।
পূর্বে তারা কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অঙ্গীকার করে যে আর কোন পাকাস্থাপনার কাজ করা হবে না। শ্মশান কর্তৃপক্ষ যখন চাইবে তখন তারা এই স্থান থেকে সরে যাবে। সোমবার পুনরায় কাজ শুরু করা হলে হরিবোলা সমিতির সভাপতি অজয় কুমার ভৌমিক তাৎক্ষনিক লিখিতভাবে চাঁদপুর পৌরসভার কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। পাশাপাশি কাজ বন্ধ করার জন্য চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অফিসার ইনচার্জ নাসিম উদ্দিনের নির্দেশ মতে পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৪৪ ধারা জারি করে এই কাজ বন্ধ করে দেন। চাঁদপুর শহরের হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি হলো তাদের শেষ ঠিকানা হিসেবে এই মহাশ্মশান। এই শশ্মানের জায়গা চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান ভূইয়ার আমলে লীজ প্রথা বাতিল করে দেওয়া হলে এখন কিভাবে এই চক্রটি লীজ নবায়ন করেছে বলে দাবি করে পাকা ভবন নির্মাণ করছে। এতে করে চাঁদপুর মহাশ্মশানের জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে। দখলদারদের কবল থেকে শশ্মানের জায়গা বাচানোর জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন।