উৎসব সম্পন্নে ও মন্দির উন্নয়নকল্পে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাধা গোবিন্দ গোপ, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মধুসূদন পোদ্দার, সাবেক পৌর কমিশনার সমীরণ ভঞ্জ, চাঁদপুর হরিবোলা সমিতির বিনয় পাল, আশীষ কুমার মজুমদার, কিশোর কুমার শংকর, প্রবীর পোদ্দার, নারায়ণ মজুমদার, অমল রক্ষিত মনা, রতন মিত্র, সংগ্রাম চন্দ, সম্পদ সাহা, গোবিন্দ সাহা, সঞ্জিত পোদ্দার, সুভাষ সাহা, অ্যাডঃ প্রভাষ সাহা, গৌতম বর্ধন, বাপ্পী সিংহ রায়, নির্মল পাল, জয়রাম রায়, চন্দনাথ সাহা চন্দন, লিটন সাহা প্রমুখ।
বাৎসরিক উৎসব উপলক্ষে ২৪ প্রহর হরিনাম কীর্তন সম্পন্নে ব্যাপক ধর্মীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় নর-নারী সমবেত হয়ে ২৪ প্রহরব্যাপী মহানামযজ্ঞানুষ্ঠানের শুভারম্ভ। ১ মার্চ শুক্রবার নামযজ্ঞ সমাপনান্তে মধ্যাহ্নে মহোৎসব ও মহাপ্রসাদ বিতরণ।
২২ মার্চ শুক্রবার চাঁদপুর মহাশ্মশান শ্রী শ্রী কালীমাতা মন্দির কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহাপূজা এবং ২৬ মার্চ মঙ্গলবার শ্রী শ্রী শ্মশানকালী মাতার বার্ষিক পূজা ও মহাপ্রসাদ বিতরণ। এ সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষ সকলের সানুগ্রহ উপস্থিতি ও সহযোগিতা কামনা করেছেন চাঁদপুর হরিবোলা সমিতির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক অজয় কুমার ভৌমিক।
তিনি আয়োজিত সকল অনুষ্ঠানে সকলের উপস্থিতি কামনা করে বলেন, সকলের সমন্বিত সহযোগিতা ছাড়া কোনো ভালো কাজ সম্পন্ন হতে পারে না। চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত ভক্তদের আন্তরিক সহায়তার কারণে আজ চাঁদপুর মহাশ্মশানে মন্দির কমপ্লেক্স গড়ে উঠেছে। এখন এ স্থানে নিত্য পূজা-অর্চনা সাধিত হচ্ছে। যে দেবালয়ে বা মন্দিরে নিত্যসেবা পূজা অনুষ্ঠিত হয়, সেখানে প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহ জাগ্রত থাকেন তা অস্বীকার করার উপায় নেই। মায়ের কৃপা আছে বলেই আমরা এখানে সমবেত হতে পেরেছি। মায়ের কৃপায় ছাড়া কারো কিছুই করা সম্ভব নয়। বর্তমানে চাঁদপুর মহাশ্মশান কমপ্লেক্স একটি বিশাল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে। এর উন্নয়নে আপনারা সকলেই সহযোগিতা করবেন। তিনি উৎসব সম্পন্নে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভাশেষে সকলকে প্রসাদে আপ্যায়িত করাসহ গত বছর অনুষ্ঠিত বার্ষিক উৎসবের আয়-ব্যয়ের হিসাবও প্রদান করা হয়।