মানিক দাস ॥ পবিত্র ঈদ-উল ফিতর ঘনিয় আসায় লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে নিরাপদে চলাচলের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন কর্তৃক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ৭টি স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের নেতৃত্বে আরডিসি আজিজুন নাহার, বিআইডব্লিউটিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেনের উপস্থিতিতে নৌ পুলিশ ও চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, ঈদ ঘনিয়ে আসায় আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছি। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দক্ষিনাঞ্চলের যাত্রীরা চঁদপুর হয়ে লঞ্চ যোগে নিজ গন্তব্যে যাতায়াত করে।
এ সব লঞ।চ যাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় এবং নির্বিঘেন্নে লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটের ভিতরে প্রবেশ করতে পারে সেই লক্ষ্যেই গ্যাংওয়ের ভিতরে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং নৌ থানা সংলগ্ন স্থাপনাগুলো আমরা ভেঙ্গে দিচ্ছি। নৌ থানা সংলগ্ন স্থানে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়ার কারণ হলো এ স্থানে প্রশাসনিক সকল যানবাহন রাখা হবে।
আর গ্যাংয়ের মধ্যে স্থাপিত অবৈধভাবে গড়ে উঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অপসারণ করে দেওয়া হয়েছে লঞ্চ যাত্রীদের সুবিধার্থে। গ্যাংওয়ের ভিতরে সেলিম বেপারীর হোটেল, সোহেলের স্টেশনারী দোকানসহ ৫টি দোকান সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। নৌ থানা সংলগ্ন নৌযান শ্রমিকলীগ ও একটি অবৈধভাবে গড়ে উঠো কালো তেল বাজারীর দোকান ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
এসব দোকান উচেছদ করায় সাধারণ যাত্রীরা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানায়। সাধারণ যাত্রীরা জানায়, লঞ্চ ঘাটের পরিবেশ সুন্দর রাখতে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়ায় আমরা এখন সাচ্ছন্দ্যে চলাচল করতে পারছি।