স্টাফ রিপোটার
বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে পাঠ্য বই প্রদান, উপবৃত্তি প্রদান এবং বিনা বেতনে শিক্ষা প্রদানের সুযোগ করে দিয়েছেন। যাতে এদেশের ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়ে। সরকারের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে একজন মেধাবি এবং সুশিক্ষিত শিক্ষামন্ত্রী উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আর তিনি হলেন আমাদের চাঁদপুরের অহংকার শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। দীপু মনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সারা দেশে শিক্ষার ব্যাপক উন্নয়ন করে যাচ্ছেন।
এদিকে চাঁদপুরেও শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয় হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন শিক্ষা ক্ষেত্রে কোন প্রকার দূর্নীতি সহ্য করা হবে না। অথচ শিক্ষামন্ত্রীর সেই ঘোষণাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওপেন সিক্রেট সার্টিফিকেট বানিজ্য চলছে চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কে অবস্থিত চাঁদপুর হাসান আলী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ বিদ্যালয়টি মডেল স্কুল হিসেবে সরকার বিশেষভাবে তদারকি করে যাচ্ছে। এর মধ্যে অনিয়মও যেন স্কুলটি মডেল হয়ে উঠেছে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে তদন্ত করে দেখা যায় প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার পর ২০১৬-২০১৭ইং সনের সার্টিফিকেট প্রদানে প্রতি শিক্ষার্থী থেকে ১০০ টাকা করে নিচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রীতা দে। এই টাকা নেয়ার জন্য সরকারি কোন নিয়ম বা নির্দেশনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি প্রধান শিক্ষক ইমতআরা সাফি বন্যা ম্যাডামের নির্দেশ নিচ্ছেন বলে জানান। কিন্তু এই টাকা কোন রশিদ দেওয়া হচ্ছে না কেন তা তিনিও বলতে পারছেন। এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে নাকি ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়া হচ্ছে তা তিনি বলতে পারেনি।
এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক ইসমত আরা সাফি বন্যার কাছে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য ১০০ টাকা করে নেওয়ার জন্য আমি কোন নির্দেশ দেইনি। তবে কেউ যদি স্বেচ্ছায় ১০/২০ টাকা দিয়ে যান তাতে কোন বাধা নেই।
স্কুলটির এই অনিয়মের ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা শিক্ষা অফিসার সাহাব উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি চাঁদপুর সময়কে জানান যে, সরকার শিক্ষার প্রসারে এতো উদ্যোগ নিয়েছে এবং সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে তার পরও যদি অসহায় গরীব শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেউ ১০০/৫০০ করে নেন তাহলে এর চেয়ে দুঃখজনক ঘটনা আর কিছুই হতে পারে না। এমন ঘটনা যদি কেউ ঘটিয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যাবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে।
এদিকে এই অনিয়মের ব্যাপারে চাঁদপুর সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য টাকা নেয়ার কোন বিধান নেই। সরকার শিক্ষার প্রসারে সব কিছু ফ্রি করেছেন। টাকা নেয়ার ব্যাপারে কোন অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে স্কুলটির বিরুদ্ধে ভর্তি বানিজ্যেরও অভিযোগ রয়েছে। শিশু শ্রেণী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত ভর্তি নিতে অনেকের কাছে ব্যাপক অর্থ নিয়ে থাকেন বলেও ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অধিকাংশ শিক্ষক সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির নির্দেশনা অমান্য করে এখনো কোচিং বানিজ্য অব্যাহত রেখেছে। এদিকে মন্ত্রীও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা বরছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।