স্টাফ রিপোর্টার: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) এর প্রশাসন আবারও ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে আটক করেছে ।
আজ সোমবার উত্তরপত্রের লেখার সাথে হাতের লেখার মিল না পাওয়ায় মৌখিক পরীক্ষার সময় তাদের আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- আশরাফুজ্জামান নয়ন, নাঈমুর রহমান, নিশাত আহমেদ, নাঈমুর রহমান সরকার ও মাহমুদুল রশিদ সৌরভ । আটক করার পর তারা সবাই জালিয়াতির অভিযোগ স্বীকার করেছেন। এছাড়া মো. রিজওয়ান নামে আরও একজন ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তবে সে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, নিশাত ও নাঈমুর আমাকে নিয়ে এসেছে। আমি জালিয়াতির বিষয়ে আগে থেকে কিছুই জানতাম না।
প্রক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে নিশাত আহমেদ শিক্ষার্থী শান্ত এর সঙ্গে চুক্তি করেন। চুক্তি মোতাবেক আইন ও বিচার বিভাগে শান্ত পরীক্ষা দিলে ৪২তম স্থান লাভ করেন। মৌখিক পরীক্ষার সময় উত্তরপত্রের সঙ্গে হাতের লেখার মিল না পেলে তাকে আটক করা হয়। এ সময় প্রশাসন তার সঙ্গে আসা তার বড় ভাই ছাত্রদলকর্মী নাঈমুর রহমান সরকারকেও আটক করে ।
‘সি’ ইউনিটে আশরাফুজ্জামান নয়ন ১৭তম স্থান লাভ করে। তিনি ১ লাখ টাকার বিনিময়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে চুক্তি করে প্রক্সি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পান।
‘ই’ ইউনিটে মাহমুদুল রশিদ সৌরভ (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) ১৫২তম স্থান লাভ করে। তিনি ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রক্সি পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন।
‘ই’ ইউনিটে নাঈমুর রহমান (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) ১২৭তম স্থান লাভ করেন। তিনি সুবির নামের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রক্সি পরীক্ষার চুক্তি করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা ক্রাইম এ্যাকশনকে জানান,ভর্তি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।
এর আগে গতকাল রবিবার মাহবুব হোসেন, ইমাম হোসেন, অমিত হাসান ও আশিকুল হাসান রবিন নামে আরো চার শিক্ষার্থীকে একই অভিযোগে আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।