মানিক দাস // চাঁদপুর শহরের বিপনি বাগ বাজারে দই মিষ্টি ব্যবসায়ী নারায়ণ চন্দ্র ঘোষ একটি সেলুনের ভেতর হত্যার স্বিকার হন। ওই মামলার এক মাত্র আসামী কুমিল্লা জেলার দেবিদ্ধার থানার ফতেহাবাদ গ্রামের সুভাষ চন্দ্র শীলের ছেলে রাজু চন্দ্র শীল (৩০)কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মহসিনুল হক।
খুন হওয়া নারায়ন চন্দ্র ঘোষ (৬০) চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার ঘোষপাড়ায় বসবাস করতেন। তিনি দিনের বেলা চাঁদপুর শহরে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন দোকানে গ্লাস দই বিক্রি করতেন। সন্ধ্যা হলে তিনি কালেকশন করে রাতে বাসায় ফিরতেন।২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি বাসায় না ফিরলে পরিবারের সদস্যরা নানা স্থানে তাকে খোঁজে রাতভর পায়না। রাজিব ঘোষ জানান তার পিতা সব সময় বিপনিবাগ বাজারের টিপটপ হেয়ার কাটিং সেলুনের সামনেই বসতেন।এ সেলুনেই তাকে গলাকেটে হত্যা করে লাশ পাবলিক টয়লেটের পাশে বস্তা বন্দী করে ফেলে রাখা হয়। নারায়ণ ঘোষের লাস্ট উদ্ধারের পর তার ছোট ছেলে রাজীব ঘোষ বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে চাঁদপুর শহরের বিপনিবাগ বাজারে টিপটপ হেয়ার কাটিং সেলুনের ভেতর সেলুন কর্মচারী রাজু চন্দ্র শীল ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে নারায়ন চন্দ্র ঘোষ কে নির্মম ভাবে হত্যা করে। রাত প্রায় ১ টার দিকে বিপনিবাগ বাজারের নৈশ প্রহরী ইসমাইল হোসেন দেখতে পায় সেলুন কর্মচারী রাজু বস্তায় ভরে ভারি কিছু টেনে হেচরে নিয়ে যাচ্ছে পাবলিক টয়লেট এর কাছে । তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে খুনি রাজু জানিয়েছিল পরদিন দোকানে বিশ্বকর্মা পূজা তাই দোকান পরিষ্কার করে ময়লা আবর্জনা ফেলে দিচ্ছে।সেদিন পুলিশের কাছে নৈশ প্রহরি এ ধরনেরই বক্তব্য দিয়েছিল। তবে মূলত নারায়ণ ঘোষ কে খুন করা হয়েছিল পাওনা টাকা চাওয়ার কারণে। দীর্ঘ তিন বছর মামলাটি চলমান থাকার পর ২১ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ গ্রহন শেষে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মহসিনুল হক আসামী রাজিব প্রকাশ রাজু চন্দ্র শীল (৩০)কে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ৫০ হাজার টাকা অথদন্ড ও অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে । ২১ এপ্রির রোববার বিকেলে আসামী রাজু চন্দ্র শীলের উপস্থিতিতে এই রায় দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী ও
আসামি পক্ষে ছিলেন লিগ্যাল এইডের আইনজীবী মোঃ শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।