নিজস্ব সংবাদদাতা : চাঁদপুর পৌর সভার ১৪নং ওয়ার্ডের বাবুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শীক্ষার্থীদের কাছ থেকে সিসি ক্যামরা স্থাপনের জন্য অবৈধ ভাবে উত্তোলনকৃত টাকা এখনো ফেরত না দেওয়ায় সর্বত্রই তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত তদন্ত না হওয়ার ভুক্তভোগী অভিভাবকসহ সর্বমহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। দ্রুত এ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে তাদের অনিয়মের মাত্রা আরো বেড়ে যাবে বলে সচেতনমহল মনে করছেন।
বাবুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র ছাত্রীদের কাছ থেকে সিসি ক্যামরা স্থাপনের জন্য টাকা উত্তোলনের বিষয়ে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায়সহ জাতীয় অনলাইনে বেশ কয়েকবার সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। অনুসন্ধানে জানাযায়, ঐতিহ্যবাহী বাবুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক তপন কুমার রায় যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে আড়াল করে, তার কাছে কোচিং করার জন্য বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের ও অভিভাবকদের নানাহ কৌশলে তার নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে। এরপর থেকে তিনি বিদ্যালয়ে বানিজ্যের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলাসহ বিদ্যালয়ে কোচিং বানিজ্যে গড়ে তুলেন। সে কোচিংয়ের সার্বিক ভাবে জড়িত রয়েছেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, নিখিল চক্রবর্ত্তী, শ্রাবন্তী দাস, স্বপ্না তালুকদার।
সরকারি নিয়মানুযায়ী প্রতিজন শিক্ষক সকাল ৯টায় বিদ্যালয়ে থাকার কথা থাকলে ও উল্লেখিত শিক্ষকগন কোচিং বানিজ্যে নিজেদের ওতোপথ ভাবে জড়িয়ে নেওয়ার কারনে সরকারের নিয়মকে তোয়াক্কা না করে সকাল ১০ থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার তার স্ত্রীকে দোষারোপ না করে বরং শিক্ষকদের উপর দোষারোপ করে বলেন, যে সকল শিক্ষক টাকা উত্তোলন করেছেন, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির তাদেরকে টাকা উত্তোলন না করার জন্য নির্দেশ দেন। তবে তার স্ত্রীর টাকা উত্তোলনের বিষয়টি ও উত্তোলনকৃত টাকা এখনো ফেরত দেওয়া হয়নি কেন, সে প্রসঙ্গ তিনি এড়িয়ে যান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগম সাথে কথা বললে তিনি অভিভাবকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ঘটনাটি অভিভাবকগন কেন সাংবাদিকদের জানালো। সাংবাদিকরা তো এ বিষয়ে বিচার করবে না । তবে অভিযোগ শুনেছি এখন পর্যন্ত কোন অভিভাবক আমার কাছে লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলেই অভিুযক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারপরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে আমি এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি তখন তারা টাকা তুলার কথাটি অস্বীকার করেছে। তিনি আরো জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে কোন ধরণের টাকা নেওয়া যাবে না। সরকার এ ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সম্পূর্ন ফ্রি করে দিয়েছে। এটি জানা স্বত্বেও অভিভাবকরা কেন টাকা দিলেন।
এখন সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন যাগে, যিনি সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষার অভিভাবকের আসনে রয়েছেন, তিনি এ বিষয়টি নিয়ে এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে যথাযথ তদন্ত না করে অভিভাবকরা কেন সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন তা নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাই স্থানীয়রা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।