মনিরুল ইসলাম মনির : ১২ অক্টোবর বাল্যবিবাহ নিরোধ দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় বর্ণাঢ্য র্যালী, মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয়ের আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার শিকারীকান্দি আকবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে।
র্যালী শেষে বিদ্যালয় সভা কক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন- উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেণ উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামান। আরো বক্তব্য রাখেন- দূর্গাপুর ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান মো. আবুল খায়ের, শিকারীকান্দি আকবরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, ইউপি সদস্য মো. ফারুক সরকার। সভা পরিচালনা করেন সিনিয়র শিক্ষক রেহান উদ্দিন।
এ সময় মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুব আলম লাভলু, সহ-সভাপতি শামসুজ্জামান ডলার, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খোকনসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ বলেন, বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক অন্যায় একে প্রতিহত করতে এর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশে বাল্য বিবাহ একটি মারাত্মক সমস্যা। বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন অনুসারে ছেলেদের বিবাহের বয়স নুন্যতম একুশ এবং মেয়েদের বয়স আঠারো হওয়া বাধ্যতামূলক। অশিক্ষা, দারিদ্র, নিরাপত্তাহীনতা ও সামাজিক নানা কুসংস্কারের কারনে এ আইনের তোয়াক্কা না করে বাল্য বিবাহ হয়ে আসছে। বাল্য বিবাহের প্রধান কুফলঃ নারী শিক্ষার অগ্রগতি ব্যাহত হওয়া ছাড়াও বাল্য বিবাহের কারনে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। মা হতে গিয়ে প্রতি ২০ মিনিটে একজন মা মারা যাচ্ছেন।
অন্যদিকে প্রতি ঘন্টায় মারা যাচ্ছে একজন নবজাতক। নবজাতক বেঁচে থাকলেও অনেক সময় তাকে নানা শারীরিক ও মানষিক জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। বাল্য বিবাহের ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের আশংকা তৈরী হওয়া ছাড়াও নানা পারিবারিক অশান্তি দেখা দেয়।