মানিক দাস // আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিদ্যার্চনায় দেবী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। চাঁদপুরের পৌর এলাকায় আনন্দঘন পরিবেশে সরস্বতী পূজা করা যায় সেই লক্ষ্যেই এই মতবিনিময় সব অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি)
পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার যেন কোন ধরনের ব্যাঘাত না ঘটে সেই লক্ষ্যেই চাঁদপুর পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের এই মতবিনিময় সভার আয়োজন।
২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর শ্রী শ্রী কালীবাড়ি মন্দিরে এ মতবিনয় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদপুর পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নেপাল সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুমন সরকার জয়ের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ।
তিনি বলেন, প্রজম্মরাই বেশির ভাগ বিদ্যার্চনা সরস্বতী পূজা করে থাকে। চাঁদপুরে আমরা আনন্দঘন পরিবেশে পূজা করে থাকি। তার মধ্যে সরস্বতি পূজা অন্যতম। তরুণ প্রজন্মারা সরস্বতি পূজা করে বলেই আমরা তাদেরকে আমাদের কাছে টেনে আনতে পারি। দিন অনেক বদলে গেছে। একসময় চাঁদপুরে আরম্বরে সরস্বতী পূজা করা হতো। চাঁদপুরের বড় বিদ্যাপীঠ হল চাঁদপুর সরকারি কলেজ। এ কলেজে এক সময় সরস্বতী পূজা হতো না। এখন চাঁদপুর সরকারি কলেজে জাঁকজমক ভাবে সরস্বতী পূজা করা হয়। সেজন্যই বলি দিন এখন বদলে গেছে। ভালো কাজের জন্য আমরা সবকিছু করতে পারি। আমরা কারো উপর কোন কিছু চাপিয়ে দিতে পারি না। এখানে যারা এসেছি এসেছ বিদ্যালয়ে অথবা মহাবিদ্যালয় অধ্যানয়নরত রয়েছ।স্বার্থিক ভাবে যে পূজাটি হয় আমরা সেভাবেই করব। আমরা পূজায় আনন্দ করব তবে এমন আনন্দ করবো না যা অন্যের ক্ষতি হয়। ছোটদের কাছ থেকে অনেক ভালো সিদ্ধান্ত আসতে পারে, আমরা সেই সিদ্ধান্ত তোমার মানতে পারি। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করি আমরাও সরস্বতী পূজায় আনন্দ করবো। পূজার পরদিন যেহেতু এসএসসি পরীক্ষা এই পরীক্ষার উপর ভিত্তি করেও আমাদের সিদ্ধান্তগুলো আমরা গ্রহণ করব।আমার সন্তান অথবা আমার প্রতিবেশী কোন সন্তান এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে তাদের পড়ালেখার কথা চিন্তা করেই আমরা আনন্দ করবো। আমরা চাঁদপুরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরস্বতী পূজার পর দিন আনন্দ শোভাযাত্রা করবো।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, উচ্চস্বরে ডিজে না বাজিয়ে ধর্মীয় সংগিত বাজানো হোক। তাছাড়া টাকা দিয়ে ডিজে ভাড়া করে আনা হয়। ডিজে না এনে সেই টাকার মধ্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে খাতা কলম বিতরণ করলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে সরস্বতী হচ্ছে বিদ্যা দেবী। সরস্বতী হলো বিদ্যার প্রতিক, শুভ্রতার প্রতীক।একই দিনে সরস্বতী পূজা,পহেলা ফাল্গুন ও ভালবাসা দিবস। সরস্বতী পূজা, পহেলা ফাল্গুন ও ভালবাসা দিবস পালন করে তরুন প্রজম্ম। বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। সরস্বতী পূজার পর দিন যেহেতু এসএসসি পরীক্ষা সেই দিকে দৃষ্টি রেখে আমরা আনন্দ শোভা যাত্রায় অংশ গ্রহন করবো। কেউ যদি শোভা যাত্রায় অংশ গ্রহন না করে প্যানরডেলে থেকে আনন্দ করার চেষ্টা করেন প্রশাসন যদি কোন ব্যবস্থা নেয় তার জন্য পূজা উদযাপন পরিষদ দায়ী থাকবে না।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নরেন্দ্র নারায়ণ চক্রবর্তী, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোপাল সাহা, দপ্তর সম্পাদক রনজিত সাহা মুন্না, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি বিমল চৌধুরী, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, জেলা জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ মালাকার, সাধারন সম্পাদক কার্তিক সরকার।