নিউজ ডেস্ক : কুমিল্লা সদর উপজেলার ১নং কালীর বাজার ইউনিয়ন এর কমলাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাজার মসজিদ কমিটির সভাপতি সাবেক ইউনিয়ন জাপা সেক্রেটারি মফিজুল (৫০) গত শনিবার কমলাপুর পাশের গ্রাম দৈয়ারা (দক্ষিন সৈয়দপুর) এলাকায় রাত ৯টার সময় এক বিধবা নারীর সাথে তার বাড়ীর শয়নকক্ষে অনৈতিক কর্যকলাপের সময় হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় এলাকাবাসী।
স্থানীয় এলাকাবাসীর হাতে অনৈতিক কাজে আটক মফিজুল বর্তমান ইউপি আওয়ামী লীগ নেতা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিগত দিন ধরে তিনি সমাজ সেবকের আড়ালে গ্রামের নিরীহ, বিধবা সহ সুবিধা বঞ্চিত নারীদের সুবিধা দেওয়ার কথা বলে এইসব কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। অতপর অর্ধনগ্ন অবস্থায় গ্রামবাসী তাকে বিধবা নারী সহ আটক করে।
বহুদিন ধরেই এমন নানা অনৈতিক সম্পর্ক এবং বিতর্কিত নানা কার্যকলাপে যুক্ত মফিজুল (৫০) অভিযোগ এলাকাবাসীর। বহু দরিদ্র নারী ও গরিব মেয়ের ইজ্জত নষ্ট করেছে সে টাকা আর ক্ষমতার জোরে এমন অভিযোগ এলাকার শত শত মানুষের। একসময় জাতীয় পার্টির ইউনিয়ন সাধারন সম্পাদক থাকলেও দলের বেহাল দশা দেখা দিলে যোগ দেন ক্ষমতাশালী দল আওয়ামীলীগ এ।
এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ বড় বড় নেতাদের সাথে ভাব জমিয়ে হয়ে যান কমলাপুর সরকারি হাইস্কুল ও মসজিদ কমিটির সভাপতি।
অভিযোগ করে এলাকার একাধিক মানুষ জানায় তার চরিত্র সম্পর্কে এলাকার কমবেশী ছোটবড় সবারই জানেন। এমন একজন চরিত্রহীন লোককে মসজিদ কমিটি ও স্কুলের মত প্রতিষ্ঠানে বড় পদে থাকা কারো পছন্দ না হলেও ভয়ে মুখ খোলেনা কেউ। তবে এলাকাবাসী বহুদিন থেকেই অপেক্ষা করছিলো হাতেনাতে প্রমান সহ ধরার। হলোও তাই দৈয়ারা গ্রামের মৃত ছায়েদ আলী মেম্বার বাড়ীর বিধবা এক নারীর সাথে শয়ন কক্ষে অনৈতিক দৈহিক মিলনের সময় গ্রামবাসী আটক করে তাকে।
প্রথমে উপস্থিত লোকজনকে ম্যানেজ করার নানা চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় সে। ঘটনা জানাজানি হলে লোকজন বাড়তে থাকে। মুহুর্তেই খবর ছড়িয়ে পরে চারিদিকে।
খবর পৌছে যায় স্থানীয় চেয়ারম্যান হাজী সেকান্দর আলীসহ আরো গম্যমান ব্যক্তিদের কাছে। এই বিষযটির ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান সেকান্দর আলী জানান, বিষয়টি আমি জানি না।
এই বিষয়ে নাজিরা বাজার ফাড়ির আই.সি জানান , বিষয়টি শুনেছি কিন্তু লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে এলাকায় সবাই বলাবলি করছে “ধরা খাইছে মফিজ বহুদিন পর”।