স্টাফ রিপোর্টার : হাজীগঞ্জের ভিআইপি হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় এক নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।অস্ত্রোপচারে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে প্রসূতি মা প্রায় ১ মাস যাবত মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
জানা যায়,গত ৬ সেপ্টেম্বর ৫ নং হাজীগঞ্জ সদর উপজেলার সুহিলপুর বেপারী বাড়ির আমির হোসেনের গর্ভবতী স্ত্রী ফরিদার প্রসববেদনা হলে তাঁকে হাজীগঞ্জের ভিআইপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।পরে অস্ত্রোপচার করার সময় গর্ভের নবজাতকের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাতের কারনে নবজাতকের মৃত্যু হয়।প্রসূতি অতিরিক্ত রক্তক্ষণের কারণে অজ্ঞান হয়ে গেলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ প্রসূতিকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।বর্তমানে প্রসূতির অবস্থা আশঙ্কাজন।প্রসূতি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।
এ ব্যপারে প্রসূতির ভাসুর জাকির হোসেনে এ প্রতিনিধিকে জানান,ভিআইপি হাসপাতালে ভর্তির পর ডাক্তাররা দুইজন প্রসূতির সিজারের যাবতীয় ঔষধ আমাদের কিনতে বলেন।ঔষধ কিনে নিয়ে যাওয়ার পর ভুয়া ডিগ্রিধারী চিকিৎসক দিয়ে ফরিদার অপারেশন করা হয়।ভুল চিকিৎসায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারনে সে মৃত্যুর পথযাত্রী হয়ে যায়।পরে ডাক্তাররা তাঁকে কুমিল্লায় নিয়ে যায়।সে এখন মৃত্যুর সাথে লড়ছে।
এ ব্যপারে বিস্তারিত জানার জন্য হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ এম ইসলাম সুমনের সাথে কথা বলতে হাসপাতালে গেলে তিনি এ প্রতিনিধিকে কোনো তথ্য না দিয়ে কসাইয়ের মত আচরণ করেন।ডাঃ সুমন আরো বলেন,রোগীপক্ষ উত্তেজিত হয়ে আমার হাসপাতালে ভাংচুর করে।ওদের নিয়ে আসেন তারপর তথ্য দিবো।
“মূল্য দিয়ে নয় সেবা দিয়ে রোগীর চিকিৎসা করতে হবে” এমন শ্লোগান দিয়ে হাসপাতালটি যাত্রা শুরু করলেও এই হাসপাতালে এসে বিভিন্নভাবে রোগীরা প্রতারিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।এই হাসপাতালে রোগী আসলেই প্রথম ধাপে রোগীদের পরীক্ষা নিরিক্ষার নামে নাজেহাল করা হচ্ছে।এলাকার প্রভাবশালী নেতার আশীর্বাদ থাকায় এই হাসপাতালের নানান অনিয়ম নিয়ে কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।ভুল চিকিৎসায় আর কত মানুষের প্রাণ গেলে এই হাসপাতাল কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে সংশ্লিষ্টরা এই প্রশ্নই এখন ভুক্তভোগী মানুষের ।