ভোলা প্রতিনিধি।>
ভোলায় ছাগলে সবজি খেতের ফসল নষ্ট করার প্রতিবাদ করায় দুই গৃহবধুকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। আহত গৃহবধু শিরিন আক্তার ও আরজু বেগম ভোলা সদর হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের চরছিপলি গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত শিরিন আক্তারের স্বামী মো. মফিজুল ইসলাম হামলাকারী ইউনুছ মহরি ও তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে ভোলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।
আহত শিরিন আক্তারের স্বামী মফিজল অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার বিকেলে তার স্ত্রী শিরিন আক্তার ও শালী আরজু বেগম তার শবজি খেত দেখতে যায়। এ সময় পার্শ্ববর্তী ইউনুছ মহরীর ছাগল তাদের সবজি খেত নষ্ট করায় তারা তাকে ছাগল বেঁধে রাখতে বলে। কিন্তু ইউনুছ মহরী তাদেরকে উত্তেজিত ভাষায় গালাগাল করে। এক পর্যায়ে ইউনুছ মহরী ও তার ছেলে মনসুর, আল আমিন ও ভায়রার ছেলে আনোয়ারসহ লাঠি নিয়ে তাদেরকে বেধরক মারধর করে। এক পর্যায়ে তাদের দুই জনকে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে মফিজুল ইসলাম খবর পেয়ে তাদেরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
মফিজুল ইসলাম আরও জানায়, ইউনুছ মহরীর দুই ছেলে এলকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। তাদেরকে কেউ ডাক দিলে তারা তাকে মারধর করে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত ইউনুস মহরীকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর খায়রুল কবির বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।