স্টাফ রিপোর্টার // মতলব দক্ষিণ উপজেলার নলুয়া গ্রামের নিউজ পোটাল ক্র্যাইম একশনের মতলব দক্ষিণ উপজেলা প্রতিনিধি আব্দুল মান্নানের পৈত্রিক সম্পত্তি ও লিজের সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা করছে প্রতিপক্ষ একটি প্রভাবশালী মহল।
যার প্রেক্ষিতে আদালতে ৩ টি মামলা চলমান রয়েছে। সহকারী জজ আদালত মতলবে দেওয়ানী মোকদ্দমা ১১০/১৩, যুগ্ম জেলা জজ আদালত ট্রাইব্যুনালে ৩৫৩৩/১৪,দেওয়ানী মোকদ্দমা নং ৪৩/১১।মোকদ্তমা চলমান রয়েছে।
এরমধ্যে আব্দুল মান্নান জানান বর্ণিত সম্পত্তির মালিক ও দখলদার তিনি। ১৬৪নং নলুয়া মৌজার ২৮৯ নং খতিয়ানে পিতা-মাতার মালিকের সম্পত্তি নিয়ে তার পিতা সিরাজুল হক খান দেওয়ানী বন্টন ১১০/ ২০১৩ সহকারী জজ আদালতে দায়ের করেন প্রতি পক্ষ শম্ভুনাথ পোদ্দার ও সুধাংশু সাহার বিপক্ষে। পিতার মৃত্যুর পর আব্দুল মান্নান ও তার ভাইয়েরা মামলা গুলো পরিচালনা করছে। এরইমধ্যে শম্ভুনাথ পোদ্দার ও সুধাংশু সাহা তাদের সম্পত্তি বলে দরখাস্ত করলে তার প্রেক্ষিতে মতলব থানা বরাবর শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় আব্দুল মান্নান আবেদন করেন।
প্রতিপক্ষ থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে উপ-পরিদর্শক শামসুদ্দিন এর মাধ্যমে গত 16 ফেব্রুয়ারী বুধবার মাপজোকের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন । নালিশি ভূমি ভিপি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হইলে নালিশি ভূমি সম্পর্কে শান্তি রঞ্জন পোদ্দার বিবিধ অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইবুনালে ২০১৩ সালে ৩৭৩ মামলা যা এখনো চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় দরখাস্ত করলে অফিসার ইনচার্জ মহিউদ্দিন মিয়া ওইদিনই মাপজোকের বিষয়ে স্থগিতাদেশ জারি করেন। কিন্তু মতলব দক্ষিণ পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পিন্টু নালিশি ক তফসিল বর্ণিত ভূমি মাপজোকের সিদ্ধান্তে অটল থেকে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি মাপজোখের দিন ধার্য করেন। দেওয়ানী আদালতের নালিশী মামলা চলমান থাকাবস্হায় দেওয়ানি আদালত কতৃক নালিশী ভুমির মালিকানা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত ভুমিতে কোনো অবস্হাতে কোনো পক্ষই ভুমি মাপজোক করতে পারবে না বলে নোটিশ জারি করেছে।
এদিকে ভুমি সহকারী কর্মকর্তা শাহজাহান খান নোটিশ জারি করেন। সিএস ১৬৪ নং, বিএস ১৮২ নং নলুয়া মৌজার সিএস ২৮৯ এস এ ৪৪৪ বিএস ১১০ সহ বিভিন্ন দাগে নাল, পুকুর, বাড়ী, বাগান সহ ১.০৯০০ একর ভুমি ১২/৭৯-৮০ ভিপি লীজ মোকদ্দমা ভুক্ত। লীজ কৃত ভুমি সরকারের অনুমতি ব্যাতিত সীমানা নির্ধারন করা যায়না বরে নোটিশ জাড়ি করেছে। কিন্তু প্রতিপক্ষ সম্ভুনাথ পোদ্দার ও সুধাংশু সাহা জমি দখলের পায়তারা করে আসছে বিভিন্ন ভাবে।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর প্রিন্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা জনপ্রতিনিধি, আমরা চেয়েছিলাম উভয় পক্ষকে সামনে রেখে জমিটি মাপজোক করে দিতাম। কিন্তু মান্নান ভাইয়ের আবেদনের প্রো্ষিতে ভুমি কর্মকর্তা নোটিশ করায় তা বন্ধ রাখা হয়েছে। যদি অনুমতি দেয় তাহলে শান্তি শৃঙ্গলা রক্ষায় আমরা উভয় পক্ষকে সামনে রেখে মাপজোক করে দেব।