মানিক দাস ॥ মানবিকতার মহান পুরুষের পরিচয় দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান। তার মধ্যে মহান মানবিকতার প্রতিচ্ছবিটি ফুটে উঠেছিল গতকাল মঙ্গলবার সকালে চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালে। সকাল সাড়ে ৬টায় চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের সেনগাঁও গাবতলী নামক স্থানে সিএনজি স্কুটার ও পদ্মা বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
দূর্ঘটনাস্থলেই সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ঢাকা গাজীপুরের একাউন্টিং কর্মকর্তা ইমরান হোসেন মারা যায়। এ দূর্ঘটনার খবর জানতে পেরে জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান দ্রুত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ছুটে আসেন। তখনও আহতদেরকে হাসপাতালে আনা হয়নি। কিছু সময় পর চাঁদপুর উত্তর ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সযোগে আহত অবস্থায় নিহত ইমরানের ভাগ্নি আলমগীর হোসেনের ১০ বছর বয়সী শিশু কন্যা ফাতেমা আক্তার আকিনা ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩নং সুবিদপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের ডাঃ ভাষাণ শীলের ছেলে রতন শীলকে হাসপাতালে আনা হয়।
জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান নিজে উপস্থিত থেকে আহতদের চিকিৎসা করায়। শিশু আনিকাকে দেখে মাজেদুর রহমান খানের চোখে জল এসে যায়। চোখ দুটি তার ছলছল করছিল। তিনি নিজে তার বডিগার্ডকে দিয়ে শিশু আনিকার জন্য দোকান থেকে ঔষধ এনে দেন। শিশু আনিকাকে বাঁচানোর জন্য তিনি প্রাণপণ চেষ্টা করে। শিশু আনিকার মাথা থেকে পুরো শরীর আঘাত প্রাপ্ত হন। জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান নিজে ব্যক্তিগতভাবে নগদ ২০ হাজার টাকা দিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
আনিকা ঢাকা নেওয়ার পথে মতলবে গেলে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন। অপর আহত রতন শীলকেও তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠিয়ে মানবতার মহান পুরুষের পরিচয় দেখিয়েছেন। শুধু তাই নয় নিহত ইমরান হোসেন ও আনিকাকে বিনা ময়না তদন্তে লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।