আবুল কালাম আজাদ, মুরাদনগর(কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ
মুরাদনগরে যাত্রাপুর নূরিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায়বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১৫ আগষ্ট/২২) কুমিল্লা জেলা মুরাদনগর উপজেলা যাত্রাপুর নূরিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসায় বাদ জোহর নামাজ পর মাদ্রাসায় হল রুমে স্বাধীনতার স্থপতি, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহদত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে ছাত্রদের মাঝে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
আলোচনা সভায় যাত্রাপুর নূরিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মোহাম্মদ বাশারত ভূইয়া সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, হাফেজ মোঃ হুমায়ূন কবির, মাওঃ জয়নাল আবেদীন, মুফতি মোঃ ইউসুফ ভূইয়া, মুফতি ফয়েজ আহমেদ, হাফেজ মোঃ মাহদী, হাফেজ মোঃ নাছির আহমেদ, হাফেজ কাজী সজিব,অত্র মাদ্রাসার ছাত্রগণ ও সংবাদকর্মী আবুল কালাম আজাদ ভূইয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে কিছু সেনাসদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স পরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি। তাদের হাতে একে একে নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল। এই হত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে পারেননি। বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভ্রাতা শেখ আবু নাসের,বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত¦া স্ত্রী বেগম আরজু মণি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পত্র আরিফ সেরনিয়াবাত. দৌহিত্র সুকান্ত আব্দুল্লাহ বাবু, ভায়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাদ, আব্দুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্ত অফিসার কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদসহ পরিবারের ১৬জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এসময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্য শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান। বঙ্গবন্ধু বড় কন্যা শেখ হাসিনা বর্তমানে আওয়ামীলীগ সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি দেশের টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।