মোঃ বিল্লাল হোসেন: চাঁদপুর মতলব উত্তরের সৈয়ালকান্দি গ্রামের কিশোর ঢাকাতে বিতর্ক প্রতিযোগীতায় ১ম স্থান অর্জন করে বাবা-মার মুখ উজ্জ্বল করেছেন ৮ বছরের রাফিদ সরকার। গত ৪ দিন পূর্বে ঢাকা আব্দুল্লাহ পুরের রাজাবাড়ি প্রি-ক্যাডটে এন্ড হাই স্কুলে বার্ষিক বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন আবু সাঈদ সরকারের একমাত্র সন্তান মোঃ রাফিদ সরকার। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সে অংশ গ্রহণ করে ১ম স্থান অধিকার করেছেন।তার বিতর্কের বিষয় ছিল বর্তমানে তথ্য ও প্রযুক্তির এই যুগে যা সবার কাছে অত্যান্ত প্রয়োজনীয় সেটি হলো মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনের উপকার ও অপকারিতার উপর বক্তব্য। রাফিদ ছিলেন বিপক্ষ দলের প্রতিযোগি। উপরোক্ত বিষয়ের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করে ১ম স্থান অধিকার করেছেন।
এ বিষয়ে রাফিদ সরকারের বাবা সাঈদ সরকার (পিন্টু) ক্রাইম এ্যাকশনকে জানান, তার ছেলে যোগ্যতার সহিত মোবাইল ব্যবহারের উপর যে উপকার ও অপকারিতার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করে ১ম স্থান অধিকার করেছেন। যে জন্য আমি রাজাবাড়ি প্রি-ক্যাডটে এন্ড হাই স্কুলের শিক্ষকসহ সকল কর্মকর্তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তার পাশাপাশি আমার একমাত্র সন্তান রাফিদ সরকারের জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি।
রাফিদ সরকারের মা রুমি ক্রাইম এ্যাকশনকে জানান, আমার একমাত্র সন্তান শারিরীকভাবে অসুস্থ্য থাকার পরও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করে যে যোগ্যতার প্রমান দিয়েছেন সে জন্য আমি মহান আল্লাহ এবং স্কুল সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমি আমার সন্তানের সুস্থ্যতার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি।
তার বড় ফুফু খালেদা পারভিন হ্যাপি ক্রাইম এ্যাকশনকে ধন্যবাদ দিয়ে জানান, আমার এই ছোট ভাগিনা ছোট বেলা থেকেই শারীরিকভাবে অসুস্থ্য থাকার পরও নিয়মিত লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে এবং এই বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান লাভ করে সে তার যোগ্যতার প্রমান দিয়েছেন। আমি তাকে অভিনন্দন জানাই। এর পাশাপাশি আমি তার জন্য দোয়া করি সে যেন আরো ভাল ভাবে লেখাপড়া করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।
তার মেঝো খালামনি ঊর্মি ক্রাইম এ্যাকশনকে জানান, রাফিদ আমাদের অন্যান্ত আদরের। সে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে ১ম স্থান অধিকার করে তার বাবা-মার মুখ উজ্জ্বল করেছে। তার পাশাপাশি আমরাও রাফিদের জন্য গর্বিত। আমি দোয়া করি সে যেন ভবিষ্যতে আরো ভাল করতে পারে।
তার বড় মামা মোঃ বিপ্লব সরকার বলেন, অসুস্থ্য থাকার পরও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে রাফিদ যে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন তা অত্যান্ত প্রশংসনীয়। কারণ লেখাপড়ার পাশাপাশি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় যারা অংশ গ্রহণ করে তারা নিঃসন্দেহে মেধাবি আর রাফিদ সেটা প্রমান করেছে। সে জন্য আমি তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। তার পাশাপাশি আমি আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে দোয়া করি। রাফিদ যেন ভবিষ্যতে এভাবে সকল পর্যায়ের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে বিজয়ী হয়ে বাবা-মা সহ পরিবারের সকলের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে।
তার মেঝো মামা শাহিন সরকার ক্রাইম এ্যাকশনকে জানান, রাফিদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে তার বাবা-মাসহ আমাদের সকলের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। এ জন্য আমি রাফিদকে অভিনন্দন জানাই। আশা করি রাফিদ ভবিষ্যতে আরো ভাল করবে।
রাফিদের ছোট মামা হালিম সরকার তুহিন ক্রাইম এ্যাকশনকে জানান, আমি রাফিদের এই বিজয়ের সংবাদ শুনে অনেক আনন্দিত হয়েছি। আমি তার জন্য দোয়া করি ভবিষ্যতে সে যেন আরো ভালো করতে পারে।
রাফিদের নানু ক্রাইম এ্যাকশনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, আমার স্নেহের নাতি রাফিদের বিজয়ের সংবাদ আপনারা প্রকাশ করবেন শুনে আমি অত্যান্ত খুশি হয়েছি। রাফিদ ছোট বেলা থেকেই সকলের আদরের। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। ছোট বেলা থেকেই রাফিদ শারীরিক অসুস্থ্যতা থাকা সত্বেও সে স্কুলে নিয়মিত ছাত্র। লেখাপড়া , খেলাধূলা তার পাশাপাশি বিতর্ক প্রতিযোগিতার প্রতি সে খুব আগ্রহী। সে বাসায় টেলিভিশনের প্রতিযোগিতা মূলক যে কোন অনুষ্ঠান খুব মনযোগ সহকারে দেখে। সেখান থেকেই তার স্কুলের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার আগ্রহ জাগে এবং অংশ গ্রহণ করে রাফিদ ১ম স্থান অর্জন করে। আমি রাফিদকে অভিনন্দন জানাই এবং তার জন্য দোয়া করি সে যেন ভবিষ্যতে আরো ভাল করতে পারে।