নুরুল আমিন দুলাল ভূঁইয়া:-লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কতৃক অভিযানে গভীর নলকূপ স্থাপনে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও সড়কের নির্মাণ কাজে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে দুদক সূত্র থেকে জানা যায়। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রতিটি নলকূপ পেতে ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত দিতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপকারভোগীরা।
দুদক সূত্র জানায়, রায়পুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে নলকূপ স্থাপনে অতিরিক্ত টাকা আদায় ও ৪নং সোনাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি সড়ক নির্মাণ কাজের ব্যপক অনিয়ম করা হয়েছে বলে দুদক সূত্র থেকে জানা যায়। গোপন সংবাদের ভিত্ততিতে দুদকের হটলাইনে এমন অভিযোগ পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের সময় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের ১৫ জন উপকারভোগীর মোবাইল ফোনে দুদককে কল দিয়ে তারা জানান, একটি নলকূপ পেতে তারা ২০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। এসব টাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যকে (মেম্বার) দিতে হয়েছে বলে জানান। নলকূপ স্থাপনে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ৫ হাজার টাকা দিতে হয়। দুদক অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
পরে ৪ নং সোনাপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড রাখালিয়া এলাকার আব্বাস উদ্দিন পাটোয়ারী সড়কের কাজে অনিয়মের বিষয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে প্যালাসাইডিং দেওয়াল নির্মাণে অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যায়। এতে ১২ মিলিমিটার রডের বদলে ১০ মিলিমিটার ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া সড়কের পুরুত্ব ২১ ইঞ্চি দেওয়ার কথা থাকলেও নিয়ম মানা হয়নি।
জানতে চাইলে দুদক নোয়াখালী সমন্বিত আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, অভিযানের সময় দৈবচয়নের মাধ্যমে আমরা উপকারভোগীদের থেকে তথ্য নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। সড়কের কাজেও অনিয়মের সত্যতা মিলেছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।