মানিক দাস // শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার বিকালে চাঁদপুর মডেল থানার হল রুমে তা অনুষ্ঠিত হয়। চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রশিদের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক লক্ষ্মন চন্দ্র সূত্রধরের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কের আসিফ মহিউদ্দিন পিপিএম।
দুর্গা উৎসব শুধু হিন্দু ধর্মের উৎসব নয়। এটি একটি সার্বজনিন উৎসব। এটি রাস্ট্রিয় উৎসব।প্রতিটি পূজা মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক রাকতে হবে। কুমিল্লায় যে ঘটনা ঘটেছে সেখানে যদি স্বেচ্ছাসেবক থাকতো তাহলে এ ঘটনা ঘটতো না। সিসি ক্যামেরা থাকার কারণে কুমিল্লার ঘটনায় প্রকৃত দোষিকে দ্রুত সময়ের মাঝে আটক করা সম্ভব হয়েছে। তাই চাঁদপুরে প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্হাপন করতে হবে।পূজা চলাকালে ইভটিজিং, ট্রাফিক পুলিশ ব্যবস্হা জোরদার, মাদক সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে। কিছু কিছু মণ্ডপে দেখা যায় গভীর রাত পর্যন্ত ডিজে সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে যুব সমাজ ফূর্তি করে তা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করবেন। সরকার বিদ্যুত সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য সরকার নির্দেশ দিয়েছে, এ দিকে দৃষ্টি রেখে আলোকসজ্জা কমিয়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন। আমাদের প্রসাশন থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। তবে পূজা মণ্ডপ গুলোতে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক টিম রাত্রিকালীন সময়ে নিয়োজিত রাখতে হবে।
এসময় বক্তারা বলেন, প্রতাপ সাহা সড়কের দূর্গা বাড়ির পাশে বালুর মাঠ হয়ে মিশন রোডের সড়কটিতে টহল জোরদার করা হবে। মজুমদার বাড়ি মন্দিরে অফিসার ইনচার্জ আবদুর রশিদ নিজের অর্থায়নে সিসি ক্যামেরা স্হাপন করা হয়েছে। ছায়াবানী মোড়ের যানজট নিরসনে পূজায় কঠোর ব্যবস্হা নেয়া হবে।বিগত বছর চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ যে ভাবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ভুমিকা রাখা হবে। বাবুরহাট বাজার এলাকায় ৪ টি পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তাই এ এলাকার পূজীদের অনুরোধ করা হয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর থাকবে। যে সব এলাকায় সরু সড়ক সেই স্হানে সেখানে পুলিশ সদস্য বাড়তি দেয়ার অনুরোধ করা হয়। প্রতাপ সাহা এলাকায় কিশোর গ্যাং এর আড্ডাস্হলে পরিনত হয়েছে। তার কারণ হলো এ এলাকায় তিনটি বালিকা বিদ্যালয় হওয়ায় তাদের আড্ডা বেশি। এদিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। কালীবাড়ি মোড় মিজানুর রহমান চৌধুরী সড়ক পূজা চলাকলের ওয়ান ওয়ে করে দেয়ার জন্য বলা হয়। চাঁদপুর পৌর এলাকায় ৩১ টি ও পৌরসভার বাইরে ৫ টি সহ মোট ৩৬ টি পূজা মণ্ডপে দূর্গা পূজা করা হচ্ছে।পূজা চলাকালে কমিউনিটি পুলিশ শহরে টহল জোরদার করা হয়। এবছর ও করা হবে।পূজা মণ্ডপ নিজেরাই পাহাড়া দিতে হবে। ভোরের বেলা মন্দির কোনো ভাবেই খালি রাখা যাবে না। তখন দুস্কৃতকারিরা সেই সময়টায় কিছু করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে পারে। চাঁদপুরে ১২০ জন কমিউনিটি পুলিশ টহল সদস্য বারতি দায়িত্ব দেয়া হয় পুজার সময়। আমরা যদি সচেতন হই তাহলে কোনো ঘটনাই ঘটতে পারে না। রাস্ট্র বাঁচলে আমি বাঁচবো এ কথা মনে রাখতে হবে।রাস্ট্র হলো সরকার। সরকার অফিসের সময় পরিবর্তন করেছে।
আরো বক্তব্য রাখেন,জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষ, সিনিয়র সহ সভাপতি নরেন্দ্র নারায়ন চক্রবর্তী,গোপাল সাহা,
সুশিল সাহা, মাখন দাস, জয় রাম রায়, যুবরাজ চন্দ্র দাস, তিমির নাহা, সত্যজিত দাস, রনজিত সাহা মুন্না,নির্মল পাল, বেবীন্টন দাস কিরণ,প্রদীপ গুহ ,চীর রঞ্জন রায়, পলাশ চন্দ্র দাস রাম, অজয় মজুমদার, প্রদীপ দত্ত,কিশোর সিংহ রায়, রোটাঃ জামাল হোসেন, সূফী খায়রুল ইসলাম খোকন, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের মহিলা সম্পাদিকা মাধুরী সাহা,
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সুজন কান্তি বড়ুয়া,নতুন বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিন্টু চক্রবর্তী,ইন্টিলিজেন্ট অফিসার অলী উল্যাহ, ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ নুরে আলম, বিভিন্ন পূজা কমিটির সদস্যদের মাঝে মৃনাল দাস, শংকর পাল, সুমন দাস, গৌতম দাস, সঞ্জয় মজুমদারসহ আরো অনেকে।