এ ছাড়া চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের ২০ স্থানে প্রকল্প গেটে বৈধস্থানের রেলক্রসিংয়ের ২পাশে ৪০টি স্পিড বেকার ও ফেন্সিং বেড়া স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। রেলওয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে ও যাত্রীদের স্বার্থের দিক বিবেচনা করে এ কাজ করছে বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্রগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
চট্রগ্রাম বিভাগের চট্রগ্রাম-ফেনী-লাকসাম ও চাঁদপুর রেলওয়ে এলাকায় এ উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে । ৫০ লাখ টাকার কাজ টেন্ডারের মাধ্যমে পেয়েছে চট্রগ্রাম রেলওয়ের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিফাত এন্টার প্রাইজ। বর্তমানে এ কাজ চাঁদপুরে তদারকি করছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো: রাজিব চৌধুরী। এ স্পিড বেকারের প্রশস্ত ৬ফুট ও উচ্চতা ৬ ইঞ্চি।
রেলওয়ের সুত্রে জানা গেছে, ইদানিংকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন রেলওয়ের গেইট দিয়ে পারপারের সময় রেলক্রসিং গুলোতে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। সে লক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে রেল মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে দেশের সকল রেলগেটে রেলক্রসিংয়ে স্পিড বেকার স্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত হয়। তারই অংশ হিসেবে চট্রগ্রাম বিভাগের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চট্রগ্রাম রেলওয়ের আওয়াতাভুক্ত চট্রগ্রাম, ফেনী, লাকসাম ও চাঁদপুর এলাকার রেলওয়ের গেট গুলোতে রেলক্রসিংয়ের ২পাশে স্পিড বেকার নির্মানের জন্য একটি প্রকল্প গ্রহন করে।
এ প্রকল্পে বৈধ ৭০টি স্পিডবেকার স্থাপন ও কাটাতারের ফেন্সিং বেড়া স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে চালিয়ে যাচ্ছে। এ প্রকল্প বৈধ গেইট স্থাপন করা হচ্ছে। চট্রগ্রাম,ফেনী,লাকসাম ও চাঁদপুরের বিভিন্ন রেলওয়ের গেইট ক্রসিংয়ে। এ কাজ করার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সিফাত এন্টার প্রাইজ চাঁদপুরে কাজ করা কালিন দেখা যায়,প্রথমে ৫ইঞ্চি আকারের পোড়া ইট ফেলে তার উপর ৩ ও ৪ সাইজের কাটা পাথর বিটোমিনের মাধ্যমে আগুনে পুড়িয়ে পিচ ঢালাই দিয়ে স্পিডবেকার নির্মান করছেন। তার পর সে স্পিডবেকারের উপর বিটোমিনের মাধ্যমে গুড়া সামান্য বজুরি পাথর দিয়ে সমান করে রোলারের মাধ্যমে সমান করে স্পিডবেকার নির্মান করা হচ্ছে।
লাকসাম-চাঁদপুরের মধ্যে ২০টি যেসব স্থানে স্পীডবেকার নির্মান হচ্ছে,সেগুলো হলো,লাকসাম,লাকসামের পেয়ারাপুর থেকে শুরু করে নাওড়া, চিতশী, উনকিলা, উয়ারুক ২টিস্থানে, কফি হাউজ, হাজিগঞ্জ ৩টি স্থানে, বদরপুর, বাকিলা, বলাখাল, মধুরোড, সাহাতলী,মৈশাদী, ওয়ালেছ গেইট, মিশন রোড, ছায়াবানী গেইট ও চাঁদপুর কোটং স্টেশন। ২০টি স্পিডবেকার নির্মান ছাড়াও চাঁদপুরের মিশন রোড,শাহরাস্তি,উয়ারুকসহ কয়েকটি স্থানের রেললাইনের পাশে কাটা তারের ফেন্সিং বেড়া স্থাপন করা হবে।তবে যে সব স্পীডবেকার ইতি মধ্যে নির্মান করা হবে তাতে করে দূর্ঘটনা আরো বেড়েছে। তার কারণ হলো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পীডবেকার নির্মান করেই শেষ করছেন। কিন্তু রাস্তার সাথে মশ্রিন হয়ে যাওয়ায় ক্ষুদ্র পরিবহনের চালকরা তা না দেখে চালাতে গিয়ে দূর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পীডবেকার গুলোতে সাদা রং করে জেব্রা ক্রসিং চিন্হিত করে দেয়া প্রয়োজন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর লাকসাম রেলপথের ভুমির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা এস.এস.এইও (ওয়ে) মো: লিমন মজুমদার জানান,চট্রগ্রাম বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এ সব স্পিডবেকার নির্মান কাজ চলছে। আমাদের দায়িত্ব শুধু তদারকি করা