স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার ২নং আলগী (উত্তর) ইউনিয়নের প্রায় ৫শ’ বছরের পুরনো ভিঙ্গুলিয়া মল্লিক বাড়ী ঐতিহাসিক জামে মসজিদটি সংস্কার ও বতর্মান পরিচালনা পর্ষদ বাতিল ও নতুন কমিটি গঠনের দাবী জানিয়েছেন মুসল্লীরা। দীর্ঘ প্রায় ১ যুগ ধরে একই বাড়ীর লোকজন মসজিদ পরিচালনার দায়িত্বে থাকায় উন্নয়ন কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
মুসল্লীদের অভিযোগ, মসজিদটি মোগল স¤্রাটের আমলে নির্মাণ হয়। পুরনো এই মসজিদটিতে আশপাশের ৩ উপজেলার বহু মানুষ নিয়ত করে টাকা ও বিভিন্ন জিনিস দান করেন। কিন্তু মসজিদ পরিচালনা পর্ষদে একই বাড়ীর লোকজন থাকায় এর কোন সঠিক হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। গ্রামের সকলকে নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা খুবই জরুরি।
সরেজমিন গিয়ে দেখাগেছে, পূর্বে নির্মিত মসজিদটি নতুন কিছু সংস্কার কাজ করায় আড়াল হয়েগেছে পুরনো নক্সা। মানুষের আত্মবিশ^াসের কারণে প্রতিদিনই দূর থেকে নারী, পুরুষ ও শিশুরা মসজিদে এসে মোমবাতি, মিষ্টি ও নগদ অর্থ দিয়ে যান। কিন্তু এসব অনুদানের সঠিক হিসেব জানেন না মুসল্লীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও সাধারন মানুষের একটাই দাবী। মসজিদটিতে যে পরিমাণ অনুদান পাওয়া যায়। তা দিয়ে এখানে মসজিদসহ আরো উন্নয়ন কাজ করা সম্ভব। কিন্তু মল্লিক বাড়ীর লোকজন ব্যাক্তি স্বার্থের কথা চিন্তা করে আল্লাহর ঘরের সংস্কার কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন না। এই বিষয়টি সঠিক সমাধানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মসজিদের সভাপতি মোখলেছুর রহমান মল্লিক বলেন, এক সময় মসজিদ পরিচালনা কমিটিতে গ্রামের সকলেই ছিলেন। কিন্তু গত প্রায় ১ যুগ পূর্বে ইমামের পিছনে নামাজ পড়া নিয়ে দন্ধ হয়। সেই কারণে কিছু মুসল্লি অন্যত্রে গিয়ে আরেকটি মসজিদ নির্মাণ করেন। আমরা কখনো কাউকে নামাজ পড়তে নিষেধ করিনি। আমাদের বাড়ীর লোকদেরকে দিয়েই পরিচালনা হচ্ছে। সভাপতি আমি, মসজিদের টাকাও আমার কাছে থাকে। তবে কোষাধ্যক্ষ আরেকজন আছেন। প্রয়োজন হলে বাড়ীর লোকদের সাথে কথা বলে নতুন কমিটি করা যেতে পারে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল মিয়া বলেন, মসজিদটি দীর্ঘদিন এইক বাড়ীর লোকজন পরিচালনা করছেন এবং তাদের কাছে মসজিদের অনুদান ও আয় ব্যয়ের টাকা থাকে। মসজিদ ও মুসল্লীদের দন্ধের বিষয়টি সমাধানে সবাইকে ডেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।