মনিরুল ইসলাম মনির : “ইঁদুর দমন সফল করি, মাঠের ফসল গোলায় ভরি” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চাঁদপুরের মতলব উত্তরে একমাস ব্যাপি জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালী শেষে উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন।
উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এসএম সৈয়দ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি সম্প্রসার অফিসার মুক্তিযোদ্ধা তফাজ্জল হোসেন, ভেটেরিনারী সার্জন ডা. রফিকুল ইসলাম, খাদ্য নিয়ন্ত্রক দীলিপ কুমার দেবনাথ, সহকারী শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হক, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আবদুর রউফ, সাইফুল ইসলাম রিজন, কৃষক সুলতান আহমেদ, গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, ইঁদুর আমাদের জাতীয় শত্রু। প্রতিবছর ইঁদুর ৫-৭% আমন ধান এবং ৪-১২% গম ফসল নষ্টকরে। প্রতি বছর প্রায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন গুদামজাত শস্য ইঁদুর দ্বারা ক্ষতি হয়ে থাকে। ইঁদুর ২০-২৫ ধরণের রোগ ছড়াতে সাহায্য করে। এক জোড়া ইঁদুর থেকে বছরে প্রায় ৩ হাজার ইঁদুর জন্ম হতে পারে। বাচ্চা দেওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আবার গর্ভধারণ করতে পারে। ৩ মাসের মধ্যেই বাচ্চা ইঁদুর পূর্ণবয়স্ক হয়ে বাচ্চা জন্ম দিতে সক্ষম হয়।
ইউএনও আরো বলেন, ইঁদুরই একমাত্র প্রাণী যা সবসময় মানুষের ক্ষতি করে এবং প্লেগ রোগসহ ৪০ ধরণের রোগ ছড়ায়। ইঁদুরের অপকারিতা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে ধারণা দিতে হবে এবং ইঁদুর নিধনে সকলকে উৎসাহিত করতে হবে। খাদ্যশস্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যই ইদুঁর নিধন করতে হবে। ইঁদুর মানুষের ক্ষতি ছাড়া কোন উপকারেই আসেনা।
বক্তারা বলেন, ইঁদুর নিধনের প্রক্রিয়াগুলোর সম্পর্কে তৃণমূল পর্যায়ে কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ দেয়া উচিত। কর্মশালায় কৃষকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে ইঁদুরের অপকারিতা সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে এবং ইঁদুর নিধনে উৎসাহিত করতে হবে।
একই দিন উপজেলা প্রশাসনের ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার ও উপজেলা কৃষি অফিসার মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে র্যালী করা হয়।
উপজেলা সহকারি কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মুক্তিযোদ্ধা তফাজ্জল হোসেন ও উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা এসএম সৈয়দ হোসেনের নেতৃত্বে সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা কম্পোনেন্ট (আইএফএমসি) প্রকল্পের আওতায় কৃষক-কৃষানীদের উদ্বুদ্ধকরণ ভ্রমনের করেন।