আহতরা হলেন—শহরের গুনরাজদী ময়দার মিল এলাকার ইমরুল আহমেদের স্ত্রী তন্নী আক্তার (৩৫), ছেলে রোহান (৮) ও একই এলাকার মো. হান্নানের ছেলে মো. রাহিম (৮)। ওই দুই শিশু বেগম মসজিদ দারুল ইমাম মাদরাসার ইকরা বিভাগের ছাত্র।
স্থানীয় পথচারীরা বলেন,বেগম জামে মসজিদের দারুল ইমাম মাদরাসা ছুটির পর শহরের গুণরাজদী ময়দার মিল এলাকার ইমরুল ইসলামের স্ত্রী তন্নী তার ছেলে রোহান(১০) এবং এলাকার ওপর শিশু রাহিম (৮)কে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন।মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে কয়েকবার পূর্ব দিকে গেলে ( ঘটনাস্থলের) এই দুর্ঘটনায় তারা আহত হন। এ সময় পৌরসভার ড্রেনে হঠাৎ করে বিস্ফোরণ হয়। এতে
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সৈয়দ আহমেদ কাজল বলেন, আহত মা ও ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদেরকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। অপর আহত শিশুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক গোলাম জাকারিয়া বলেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ফায়ার ফাইটারদেকে জানানো হয়েছে, তারা তদন্ত করে জানাবে মুলত এখানে কি হয়েছে। এখানে ড্রেন পরিস্কার, তিন ফুট দূরত্বে ঢাকা আছে। তার উপর ফাঁকা রয়েছে। গ্যাস বের না হওয়ার মতো কিছু দেখতে পারচ্ছি না। তদন্ত না করে কিছু বলা যাবে না। আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি। তারা তদন্ত করে দেখবে।
চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিস উপসহকারী পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মোরশেদ হোসেন বলেন,বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এতে তিন পথচারী আহত হন। এটি একটি ময়লা নিষ্কাশনের ড্রেন। তার পাশেই রয়েছে এসবি খাল। ড্রেনের ময়লাগুলো ওই খালে গিয়ে পড়ে। এই ড্রেনেই বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের স্থানে দুটি আলাদা পাইপলাইনও রয়েছে। তবে এগুলো কীসের পাইপ তা এখন বলা যাচ্ছে না। বায়োগ্যাস, ড্রেন মিথেন গ্যাস কিংবা মানুষের রান্নাবান্না করার গ্যাস বিস্ফোরিত হয়েছে কিনা এখনো বলা যাচ্ছে না। আমরা তা তদন্ত করে পরে জানিয়ে দেবো।