স্টাফ রিপোর্টার : ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের ১০ম তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ডাক্তার মোঃ হাবিব উল করিম যোগদান করেছেন। তিনি গত ১৮ জানুয়ারী চাঁদপুরের কর্মস্থলে যোগদান করেন। ঐদিন যোগদান করে তার দাপ্তরিক কাজের জন্য চলে যান।
গত ডিসেম্বর মাস থেকে মুলত এ পদটি শূন্য হয়। এই অবস্থায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড অনেকটা স্থবিরতা নেমে আসে। অবশেষে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে নজর আনতে স্হানীয় সাংসদ ও শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্তনালয়ের কর্তৃপক্ষের নজর আনতে সক্ষম হন।
পরবতীতে মন্তনালয় নোয়াখালী জেলায় ম্যাটসের উপ পরিচালক হিসেবে কর্মরত ডাঃ হাবিব উল করীম কে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবাধয়ক হিসেবে যোগদান করার জন্য নিদেশ দেন। এ নিদেশের পরিপেক্ষিতে ডাঃ হাবিব উল করীম গত ১৮ জানুয়ারি চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে তও্বাবাধয়ক হিসেবে যোগদান করে, ঐদিনেই তার বিভাগীয় কাযক্রম সম্পন্ন করার জন্য চলে। অবশেষে গতকাল ২৬ জানুয়ারি তিনি তার কর্মস্থলে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব বুজে নেন।
জনাব হাবিব উল করীম ১৯৬৬ সালের ১২ এপ্রিল ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার এক সম্ভান্ত্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোস্তাফিজুল করীম, মাতা আয়েশা সিদ্দিকা দম্পতির সাত সন্তান সন্তানের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
তিনি ১৯৯০ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। তিনি একজন ফিজিশিয়ান চিকিৎসক হিসেবে তার এই পেশা শুরু করেন। তিনি বিসিএস উত্তীর্ণের মাধ্যমে ১৯৯৪ সালের ২৫ এপ্রিল সরকারি একজন চিকিৎসক হিসেবে এ পেশায় যোগদান করেন। তার দীর্ঘ এ কর্মকালীন সময়ে তিনি একজন সরকারি চিকিৎসক হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিবাহিত তার স্ত্রী ফাতেমাতুজ্জোহরা একজন গৃহিণী। তিনি একমাত্র কন্যা সন্তানের জনক। চাঁদপুরে তাঁর এ দায়িত্ব কালীন সময়ে সকলের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।
উল্লেখ্য গত বছরের ২১ ডিসেম্বর শনিবার সকাল ১০ টায় তৎকালীন তও্বাবাধয়ক ডাঃ মরহুম আনোয়ারুল আজিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। মুলত তিনি এর পূর্ব থেকেই অসুস্থ হয়ে পরেন। চিকিৎসা নিতে গিয়ে চিরবিদায় নেন। যারফলে এ পদটি শূন্য হয়।