মানিক দাস //চাঁদপুরে ভ্যাপসা গরমে চাহিদা বেড়েছে তালের শাঁসের। গরম থেকে একটু স্বস্তি পেতে মধুমাসি রসালো ফলের পাশাপাশি রাস্তার পাশে ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে কচি তালের শাঁসের স্বাদ নিচ্ছেন অনেকে। কঁচি তালের শাঁস ও পাকা তাল বাংলাদেশসহ এশিয়ার অনেক দেশেই জনপ্রিয়। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে।
বর্তমান সময়ে চাঁদপুর শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বিভিন্ন অলি-গলি, পাড়া-মহল্লাতে এই মৌসুমী ফল হিসাবে তালের শাঁসের প্রচুর আমদানি হচ্ছে গত কয়েকদিন ধরে। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা তাল গাছ থেকে অপরিপক্ত তাল ফল পাইকারী কিনে এনে কেটে কেটে বিভিন্ন দামে বিক্রি করছে।
গত ২১ মে রোববার দুপুরে চাঁদপুর শহরের চৌধুরী ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় ফলের আড়ৎ গুলোতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে গাছিরা তালের শাঁস পাইকারি দামে বিক্রি করতে নিয়ে এসেছে। আড়ৎ ঘর গুলো থেকে খুচরা এবং ফুটপাত বিক্রেতারা পাইকারি দামে কঁচি তাল ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।
চৌধুরী ঘাট এলকার মেসার্স গাজী এন্টার প্রাইজের আড়ৎদার শাহাজাহান গাজী জানান, এখন গরমের মৌসুম, তাই এই তালের সাশ রসালো ও পানীয় ফল হিসাবে বেশি চাহিদা। আমরা চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও গ্রাম অঞ্চল থেকে গাছ হিসেবে কঁচি তাল ক্রয় করে থাকি। এরপর আমরা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি দরে বিক্রি করে থাকি। তিনি আরো জানান, এক পীড় তালের দাম ১০০ থেকে দেড়শ এবং সর্বনিন্ম ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেন।
শহরের কালিবাড়ি মোড়, বড় স্টেশন, ছায়াবানী মোড়, বাসস্টেশন, নতুন বাজার, পালবাজার, পুরান বাজারের লোহার পুল, নতুন রাস্তা, মসজিদ পট্টি, দুধবাজার, নিতাইগঞ্জসহ বেশ কয়েকটিস্থানে দেখা গেছে মৌসুমি এ ফল হিসাবে তালের সাশ বিক্রিরহচ্ছে। কেউ দাঁড়িয়ে খাচ্ছেন আবার কেউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। এসব দোকানে ছোট বড় সব শ্রেণি পেশার মানুষ তালের শাঁস কিনতে ভিড় করছেন। খুচরা ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কাছে দু বিচির তাল বিক্রি করছে ২০ টাকা ও তিন বিচির তাল বিক্রি করছে ৩০/৪০ টাকায়।
গ্রীষ্মের এই দিনে তাপদাহ গরমে চাঁদপুর জেলায় তালের শাঁস খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাই সবাই তাদের সাধ্য মতো হওয়ায় কঁচি তালের শাঁস কিনছে । তবে এই তালের শাঁস বিক্রি করার কারনে বিলুপ্তির পদে পাকা তাল। চিকিৎসকদের মতে গরমে তালের শাঁস খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি মিলে। সেই সঙ্গে বাড়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।