নূরুল আমিন ভূইয়া: পূর্ব দিগন্তে সূর্য- আলোকের বিজয় ঘোষণার পূর্বেই সমগ্র পৃথিবী আমাদের দুয়ারে এসে করাঘাত করে। সংবাদপত্র হচ্ছে সেই ক্ষুদ্র পৃথিবী।
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ভাষায়-
‘কত অজানারে জানাইলে তুমি, কত ঘরে দিলে ঠাঁই
দূরকে করিলে নিকট বন্ধু, পরকে করিলে ভাই’।
মানবজীবনের প্রতিক্ষেত্রে সংবাদপত্রের ভূমিকা, উপকারিতাও অপরিসীম। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, আন্তর্জাতিক সর্বক্ষেত্রেই সংবাদপত্রের ভূমিকা অপরিসীম। এই সংবাদপত্র তখনই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে যখন বাস্তব সত্য খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সাংবাদিকতা একটি কঠিন পেশা, এ পেশায় জনপ্রিয়তা অর্জন করা খুবই দুঃসাধ্য ব্যাপার। কারণ যুদ্ধক্ষেত্রের ভয়াবহ রণাঙ্গনের খবর, ছবি সংগ্রহ ও পরিবেশন কী সহজ কাজ?
হত্যা, খুন, গুম এসব গোপন তথ্য সংগ্রহ করতে ডিটেকটিভের ভূমিকায় কাজ করতে হয় একজন দক্ষ দায়িত্বশীল সাংবাদিকের। সন্ত্রাস, খুন, গুমের যুগে সর্বোপরি বিপথগামী নেশাখোরদের বিরুদ্ধে কোনো খবর পরিবেশন করা যে কত কঠিন কাজ; তারপরও প্রকৃত সাংবাদিকদের কলম থেমে থাকে না তাদের লিখতে। প্রশাসন, সরকারি দলের ক্যাডারদের দুষ্কর্ম যখন খবরের কাগজে প্রকাশ পায় তখন সাংবাদিকরা হ্যারাসমেন্টের শিকার হয়। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কেস হয়। খুন যখম ও হত্যার শিকার হয়। তখন
সাংবাদিকদের বন্ধু কে হয়? সাংবাদিকদের বন্ধু সাংবাদিকরাই। তারা সংবাদপত্রে প্রতিবাদ জানায়। মানববন্ধন করে। যখন সাংবাদিকরা দেশের জন্য, অন্যের অত্যাচার, রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি, অনিয়ম, অনাচারের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে হত্যার শিকার হয়। পুলিশের হাতে লাঠিপেটার শিকার হয়।
জেল-জুলুমের শিকার হয় তখন দেখতে পাই দেশের কোনো সাধারণ মানুষ এজন্য প্রতিবাদ করতে চায় না। কেউ মানববন্ধন করেন না। শুধু সাধারণ মানুষের কথাই বা বলব কেনো বর্তমানে দেশের সাংবাদিকরাও হয়ে গেছেন দলীয়। কেউ কেউ হয়ে গেছেন বাণিজ্যিক। কোনো ব্যাপারে অর্থ পেলে আর কথা বলেন না। দেশে এ ধরনের বহু দৃষ্টান্ত প্রতিস্থাপিত হয়েছে।সাংবাদিকরা একতাবদ্ধ হওয়ার জন্য প্রেস ক্লাব,রিপোর্টার্স ক্লাব, রিপোর্টার ইউনিটি ইত্যাদি ইউনিটি গড়ে
তোলেন,সেখানেও ক্ষমতায় গিয়ে চাঁদাবাজি,নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিষ্ঠানের নাম করে দলীয় প্রধানরা নিজেদের পকেট ভর্তি করায় সংখ্যা গরিষ্ঠতার ভিত্তিতে গঠনতন্ত্র মোতাবেক অনাস্থাপ্রস্তাব প্রদান,যাহা ইদানিং কালে লক্ষ্মীপুর জেলায় সংগঠিত হয়েছে।
প্রস্তাবঃ-সাংবাদিক সাংবাদিক হানা হানি ভুলেগিয়ে সন্দেহ প্রবনতার বাহিরে এসে সাংগঠনিক গঠনতন্ত্র মোতাবেক দায়ীত্বশীলরা তাদের উপরে নেস্ত দায়ীত্ব সুচারুরূপে পালন করার প্রতিশ্রুতিশীল হলেই সকলের জন্যই মঙ্গল।