মানিক দাস ॥ চাঁদপুরে বজ্রপাতে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তিরা চাঁদপুরের ত্রি নদীর মোহনায় ভ্রমণের জন্য এসেছিল। ব্রজপাতের ঘটনাটি ঘটে রবিবার দুপুর দেড়টায়। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার চান্দিনার খৈলান গ্রাম থেকে সুলতান হোসেনের স্ত্রী অহিদা বেগম (৫৫), তার মেয়ে রেহেনা বেগম (২৭), তাদের শিশু পুত্র সাব্বির (১০), সামিয়া (৮) ও রেহেনার বোন সাহিদা বেগম সহ ৫/৭ জন চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেড এলাকার ত্রিনদীর মোহনায় ঘুরতে আসেন।
ওই দিন দুপুর দেড়টায় মুষলধারে বৃষ্টি ও বিকট শব্দে বজ্রপাত হতে থাকে। ওই বজ্রপাতে অহিদা বেগম, তার মেয়ে রেহানা বেগম, তার সন্তান সাব্বির ও সামিয়া বড় স্টেশন মোলহেড এলাকার বড় বটবৃক্ষের নিচে নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন করছিল। বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে এই ৪ জন ঘটনাস্থলেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে মৃত্যুবরণ করে।
অপর আহত সাহিদা বেগম ও তার কন্যা সন্তান কিচুটা সুস্থ রয়েছে। সাহিদা বেগম জানান, আমরা চান্দিনার খৈলান গ্রাম থেকে ত্রি নদীর মোহনা দেখার জন্য কচুয়া হয়ে চাঁদপুরে এসেছিলাম। গাছের নিচে পাকা বেঞ্চে বসা অবস্থায় আচমকা বজ্রপাতশুরু হয়। এতে করে আমার মা ছোট বোন ও তার দু’সন্তান বজ্রপাতে মারা যায়। বড় স্টেশন মোলহেডে ভ্রমণ করতে আসা বেশ কিছু যুবক বজ্রপাতের পর দেখতে পান বটবৃক্ষের উপরে প্রচ-ভাবে ধোয়া নিগৃহত হচ্ছে।
তখন তারা বজ্রপাতে গাছে কিছু ক্ষতি হয়েছে এমনটা ভেবে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তখন তারা দেখতে পান ৪টি তাজা প্রাণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুজাউদ্দোলা রুবেল তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
বড় স্টেশন মোলহেডে বজ্রপাতে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যুর ঘটনা জানতে পেরে হাজারো মানুষ হাসপাতালে ছুটে আসে। দুপুর অনুমান আড়াইটায় জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমানখান বজ্রপাতে নিহতদের বিষয় জানতে পেরে তিনি দ্রুত হাসপাতালে ছুটে আসেন।
প্রতিটি মৃত মানুষের দাফন করার জন্য জেলা প্রশাসকের তহবিল থেকে প্রতিজনকে ৩০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেন। চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক পলাশ বড়–য়া চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে সুরুত হাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করেন।