নিজস্ব প্রতিবেদক।। প্রতিপক্ষের বাঁধার সম্মোখিন ও হামলার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনাসর প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থি গাজী মোক্তার হোসেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন চেয়ারম্যান প্রার্থি মিডিয়ার সম্মুখে বলেন,
আমি প্রার্থি হিসেবে সুষ্ঠ নির্বাচন চাই, আমার ভোট আমি দিব যাকে খুশি তাকে দিব। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে মতলব উত্তর থানার ওসিকে নিয়ে আমি সংকিত, তিনি যদি একটু সচেতন হন তাহলে নর্বাচনের চেহারা পাল্টে যাবে। আমার কর্মীতের উপর গতকালরাতেও হামলা হয়েছে, একটি মোটরসাইকেল পুড়িে্রয দেওয়া হয়েছে। রাতেই আমি থানাকে অবহিত করি, সাথে অভিযোগ দায়ের করি কিন্তু কোন কিছুই কর্নপাত করছেন না ওসি। ২৩ এপ্রিল আমার যখন প্রতীক নিয়ে চাঁদপুর থেকে মতলব প্রবেশ করি তখন কলাকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুভাষের নেতৃত্বে আমার সমর্থকদের উপর হামলা করা হয়।
সাবেক মন্ত্রী মায়া চৌধুরীর মতলব অবস্থানের কথা তুলে গাজী মোক্তার বলেন, আপনার জানেন আমাদের প্রিয় নেতা ও সকলের আস্থাভাবন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম তিনি মলতবে তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। ওনার অবস্থানকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ এলাকয় রিউমার ছড়াচ্ছে তিনি নাকি এককভাবে প্রার্থি দিয়েছেন। আসলে তিনি এককভাবে কাইকেউ প্রার্থি হিসেবে ঘোষণা দেননি। তিনি যদি নির্বাচন পর্যন্ত মতলব অবস্থান করেন তাহলে নির্বাচনে কিছুটা প্রভাব পরবে। কারন ওনার পরিবার থেকে মানিক দর্জিকে সাপোর্ট করেছে, মায়া সাহেব কিন্তু কাউকে সাপোর্ট করেননি। আমরা আশাকরি ওনি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, ওনি সিনিয়র নেতা, জাতীয় নেতা ও আমাদের সকলের নেতা তাই ওনি মতলবে একটি সুষ্ঠ ও সুন্দর ভোট উপহার দিবেন তাই আমরা প্রত্যাশা করি।
মায়া চৌধুরীর নাম বিক্রিকরে গুটি কয়েক লোক এ শান্ত মতলবকে অশান্ত করার চেষ্টা করেছে একজন সুভাষ চেয়ারম্যান. খোরশেদ, নাজমুল ও চুল্লা খোরশেদ। গতকাল মোহনপুরে আসাদের একটি উঠোন বৈঠক ছিল, সেখানে সুভাষ চেয়ারম্যান, নাজমুল, চুল্লা খোরশেদ, ছোট নাজুমল, খোরশেদ এদের নেতেৃত্বে বোমা ফাটিয়ে আসাদের সর্কেদের মারধর করে উঠোন বৈঠকটি পন্ড করে দেয়।
তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে বলেন, নির্বাচনে প্রচার প্রচারনা চালিয়ে ভোট কেন্দ্রে প্রার্থিদের ভোটার আনতে হবে। মতলব উত্তরে প্রচারতো দূরের থো নির্বাচনে আমি প্রতীক পাওয়া মাত্রই আমার কর্মীদের উপর হামলা ও বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হচ্ছেল। আর এসকল কিছুর মদদ দাদা চেয়ারম্যান সুভাষ। তার নির্দেশে আমার প্রচার প্রচারনায় বাধা দেওয়া হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে ফরাজিকান্দি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দানেশ, জহিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী মো. সেলিম, আলামিন প্রধান, সম্রাট গাজীসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।