নবাবগঞ্জ(দিনাজপুর)থেকে সৈয়দ হারুনুর রশীদ।
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানার চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের প্রধান আসামী দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানার খোদাতপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম (২৩)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানাধীন খোদাতপুর গ্রামের বাসিন্দা হায়দার আলী (৫২), পিতা- মৃত কফিল উদ্দিন মন্ডলের ক্রয়করা একটি জমি নিয়ে ক্রয়ের পর থেকেই হায়দার আলীর সাথে আসামীদের মধ্যে বিরোধ চলে আসে। গত ২৫ জানুয়ারী-২৩ ইং সকাল ০৯.০০ টায় হায়দার আলীর ছেলে মনোয়ার হোসেন মিম (২৫) ও প্রতিবেশী ভাতিজা রাকিব হোসেন মন্ডল (২২) ইরি ধানের জমিতে পানি দেয়ার জন্য গভীর নলকুপের কাছে গেলে ও-ই জমি সংক্রান্ত পূর্ব-শত্রুতার জেরে আসামী ওমর আলী ও অন্যান্য আসামীগন তাদেরকে গালমন্দ করে একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে উপরোক্ত গ্রেফতারকৃত আসামী মনিরুল সহ তার সহযোগী অন্যান্য আসামীরা তাদের উপর অতর্কিত আক্রমন করে।ধৃত আসামী মনিরুলের(২৩) এর হাতে থাকা ধারালো চাকু ভিকটিম মনোয়ার হোসেন মিম (২৫) এর পিঠে ঢুকিয়ে দেয় এবং অন্যান্য আসামীরা ভিকটিম রাকিব হোসেন মন্ডল (২২) কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে মৃত্য নিশ্চিত করে। আহত ভিকটিমদ্বয়কে দ্রুত ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করে।এঘটনায় ভিকটিম মৃত মনোয়ার হোসেন মিম (২৫) এর পিতা বাদী হয়ে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনাটি স্থানীয় এবং জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।ঘটনাটি নিয়ে র্যাব গোয়েন্দা অনুসন্ধান শুরু করে।এ ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩, ক্রাইম দিনাজপুর গোপন সংবাদে জানতে পারে যে,এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার মূলহোতা কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩, সিপিসি-১, দিনাজপুর এবং র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর এর দুটি আভিযানিক দল ১৮ ফেব্রুয়ারী-২৩ ইং রাত ১০.১৫ ঘটিকায় কুড়িগ্রাম জেলার রাজীবপুর থানার রাজীবপুর ঘাট হতে যৌথ অভিযান পরিচালনায় বর্ণিত হত্যা কান্ডের মূলহোতা দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থানার খোদাতপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম (২৩)কে আত্নগোপনকৃত অবস্থায় গ্রেফতার করেন। এছাড়াও বর্ণিত হত্যার সাথে জড়িত আজাহার আলী (৬৫)কে ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে র্যাব গ্রেফতার করে থানায় হস্তান্তর করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মনিরুল ইসলাম (২৩)কে জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত হত্যার সাথে তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে।ধৃত আসামীকে ঘোড়াঘাট থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।