সুমন আহমেদ :
গত রোজায় কম টাকায় খেজুর কিনে পরিবার নিয়ে ইফতারে খেয়েছি। এবার সেই খেজুর ছোঁয়ার কায়দা নেই। অনেক দাম বেড়েছে। এখন রোজা শুরুর পর থেকে কলার দামও নাগালের বাহিরে ইফতারিতে ফল খাওয়াটাও জুটতেছে না আমাগের মতো গরিব মানুষের। কথাগুলো মতলব উত্তরে উপজেলার চালের বস্তা টেনে জীবিকা নির্বাহ করা তাজুল ইসলামের।
গতকাল সোমবার ছেংগারচর বাজারে কলা কিনতে এসে আক্ষেপ করে এসব কথা বলেন। ষাটোর্ধ্ব এই শ্রমিক বলেন, ‘কম দামে কিছু নেই, যা ইফতারিতে লাগে, তার সবকিছুর দাম বাড়তি। প্রতিদিন যেন দাম বাড়তে থাকে।
সম্প্রতি খেজুর ও কলার দাম নিয়ে ক্ষোভ মতলব উত্তরের ক্রেতাদেরও মাঝেও দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রোজার শুরু থেকে খেজুরের দাম চড়া বলে ক্রেতারা নানা সমালোচনা করছেন কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে। মতলব উত্তরের ছেংগারচর বাজার, নতুন বাজার, সাহেব বাজার, কালিপুর ও কালির বাজারে সাধারণ মানের খেজুরের কেজি ৪৫০ টাকার ওপরে, আর ভালো মানের খেজুর ৬০০ থেকে ৮০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। ছেংগারচর পৌর এলাকায় গতকাল দুপুরে দেখা যায়, দেশি কলা ৩০ থেকে ৪৫ টাকা হালি, চাপা কলা ৩০-৩৫, সাগর কলা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কলা কিনতে আসা আদুরভিটি গ্রামের ক্রেতা নুরনবী বলেন, ছোট কলার দাম রোজার আগের দিনও ছিল ২৫ টাকা হালি; এখন তা ৩০ টাকার ওপরে। সেহরি বা ইফতারে কলা হলে ভালো হয়। সেটার দামও বেড়ে গেছে। কেন বাড়ছে দোকানি কিছু জানেন না বলছে।